মঞ্জুর: বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজউক। তাদের ব্যর্থতার জন্য আজ সারা ঢাকা শহর জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ কোনও কথা বলে না। তাদের প্রত্যেকটি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টির প্রতিবাদে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান।তিনি বলেন, অভিযানের সুযোগে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন এখন চাঁদাবাজি শুরু করেছে। কিছুদিন আগে পুলিশের এসআই পর্যন্ত রেস্টুরেন্টে এসে চাঁদাবাজি করেছে। যার যেখানে সুযোগ আছে সে সেখানে চাঁদাবাজি করছে।বন্ধ হয়ে যাওয়া রেস্তোরাঁ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, বর্তমানে আমাদের ৮০০ রেস্তোরাঁ বন্ধ আছে। এরমধ্যে ২২০-২৩০টি সরকারিভাবে সিলগালা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রকার নোটিশ ছাড়াই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ আমরা জানি কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাবের মাস্টারপ্লানেও ব্যবসায়ীদের ভবন মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাজউক যে উদ্দেশ্যে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল সেভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলে আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ প্রদান করতে হবে ভবন মালিক, ব্যবহারকারী বা রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীকে। কিন্তু রাজউক বর্তমানে যা করছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ সময় রেস্তোরাঁ শিল্পের সামগ্রিক সংকট নিরসনে বিষেশজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্সে গঠনের আহ্বান জানান ইমরান হাসান। তিনি বলেন, আমরা টাস্কফোর্সের কথা বলেছি। তারা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অতিঝুকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করুক। বন্ধ করে দেওয়া কোনও সলিউওশন না। এ সময় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর অন্যায় চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি জানান। ইমরান হাসান বলেন, রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। অন্যথায় আগামী বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো। তাও দাবি মানা না হলে ১ দিনের জন্য সারা বাংলাদেশে রেস্তোরাঁগুলো বন্ধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনী, সহ-সভাপতি শাহ সুলতান খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ।
ADVERTISEMENT