নিজস্ব প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা এলাকায় ৪ বখাটে পাহাড়ি যুবক কর্তৃক এক পাহাড়ি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর ২০২৫) এক যৌথ বিবৃতিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তাহীনতা আজ চরমে পৌঁছেছে। সারাদেশে নারী ও শিশুরা কোথাও নিরাপদ নয়। ঘরে, বাইরে, কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবখানে যৌন নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে নারী-শিশুদের। দেশে দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থায় নারীদের সুরক্ষার জন্য কোনো কার্যকর ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়ায় আইন ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
দুই নারী নেত্রী আরও বলেন, সমতল থেকে পাহাড়ে ধর্ষণের প্রকৃতি ও প্রক্রিয়া ভিন্ন। এখানে শাসকগোষ্ঠী এথনিক ক্লিনজিং-এর নীলনক্সা অনুযায়ী ধর্ষণে প্ররোচনা দিয়ে আসছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও বহিরাগত সেটলারদের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনা চাপা দেওয়ার লক্ষ্যে মেডিকেল রিপোর্টর ওপর গোপন নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি সমাজকে কলুষিত করার হীন উদ্দেশ্যে অবাধে পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দিচ্ছে। তার ফলশ্রুতিতে অযোধ্যায় বখাটে পাহাড়ি যুবক কর্তৃক নিজ সমাজের কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অতীতে পাহাড়ি সমাজে ‘ধর্ষণ’ শব্দটাই ছিল না, কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠী— বিশেষত সেটলার সমাজের প্রভাব ও রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে আজ পাহাড়ি সমাজেও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে ধর্ষণকারীদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এ ধরনের অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
নেত্রীদ্বয় অবিলম্বে মাটিরাঙ্গার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

