নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জেনেভা জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৬০তম মানবাধিকার কমিশন চলছে। এরই সাথে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা অবনতি ও সংখ্যালঘু ও আদিবাসী নির্যাতন বিষয়ে সাইড ইভেন্টের পরে, জাতিসংঘের সামনে তারা ভাংগা চেয়ারের নিচে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত করেন।
৩ রা অক্টোবর জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন দেশের একদল মানবাধিকার প্রতিনিধি। সভায় বক্তব্য রাখেন- পোলান্ডের নেভার এ্যাগেইন এসোসিয়সন প্রধান প্রতিনিধি মিসেস নাটালিয়া সিনিয়েভা পাঙ্কোভস্কা,বেলজিয়ামের সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম এর ফাউন্ডার ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিঃ পাওলে কাসাকা, মিঃ ক্রিস ব্লাকবার্ন, ফাউন্ডিং এডিটর,নেরেটিভ থ্রিসিক্সটি,ইউকে, কর্ণেল শুন ফরম জাপান এবং অরুন জে বড়ুয়া,বাংলাদেশ মাইনরিটি এ্যালায়েন্স এন্ড ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস,সুইজারল্যান্ড।

উক্ত সাইড ইভেন্টে বিশেষ করে Colonel Shun ২টি প্রশ্ন করেন সেগুলো হলো- ১) পার্বত্য চট্টগ্রামে, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকা সত্বেও আদিবাসীদের উপর বারবার যে নিপীড়ন নির্যাতন চলছে তার কোনো নিউজ মিডিয়াতে প্রকাশ হচ্ছে না এবং বিচার হচ্ছে না কেন?
২) বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুকে যে গ্রেফতার করছে, তার জামিন হচ্ছে না কেন, একজন সাধু-সন্নাসী কেন বিচরহীন ভাবে এখন বন্দী?
প্রতিবাদ সভা থেকে প্রতিনিধিগণ অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের এ দুটি বিষয়ে জাতিসংঘের মানাধিকার কমিশন সহ বিশ্বের সকল মানবাধিকার কর্মীদের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং সংখ্যালঘু বিষয়ে একটি স্থীয় সমাধান প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং সেই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামা মানুষের উপর সে দেশের সেনার নিপীড়ন নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকও ওই ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা অবিলম্বে দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৬০ তম অধিবেশনেও পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়।
চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে আদিবাসী মারমা সম্প্রদায়ের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলন দমনে সেনাবাহিনী ব্যাপক নিপীড়ন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা বাহিনীগুলির সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন স্থানীয় আদিবাসী মারমা সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। যদিও সেনা সহ কোন নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালানোর দায় স্বীকার করেনি। এই নিয়ে স্থানীয় মানুষ এখন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ওই ঘটনার দায় আবার চাপিয়েছেন ভারত সরকার এবং আওয়ামী লিগ নেত্রী শেখ হাসিনার উপর। তাঁর বক্তব্য, দুর্গা পুজোর উৎসব ভেস্তে দিতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে ভারত এবং হাসিনা।

