রুপসীবাংলা৭১ ডেস্ক : ঢাকের বাদ্য, কাঁসর ঘণ্টা আর শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায় পালন করছেন শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা। অষ্টমীর সকালে ভক্তরা দেবী দুর্গাকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ নিবেদন করে পূজা অর্চনা শুরু করেন।
অষ্টমী তিথির বিশেষ আচার অনুযায়ী দেবীর নয়টি শক্তিকে উৎসর্গ করে নয়টি পাত্রে বিভিন্ন রঙের পতাকা স্থাপন করা হয়। পূজা শেষে ভক্তরা দেবী দুর্গার উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করেন।
কুমারী পূজার মূল দর্শন হলো— নারীতে পরমার্থের দর্শন ও অর্জন। পুরাণ মতে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সৃষ্টির, স্থিতির ও লয়ের যে ত্রিশক্তি বিদ্যমান, তার বীজরূপ নিহিত রয়েছে কুমারীতে। কুমারী প্রকৃতির প্রতীক এবং নারীজাতির বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন।
আজ দেশের রামকৃষ্ণ মিশনসহ বিভিন্ন মণ্ডপে কুমারী রূপে দেবীর মাতৃভাব পূজিত হবে। প্রথা অনুযায়ী, অষ্টমী বা নবমী তিথিতে কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থান ও পঞ্জিকা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে এই পূজা সম্পন্ন হয়। যদিও এর কোনো নির্দিষ্ট শুভক্ষণ নেই, তবে দুর্গাপূজার অন্যান্য আচার শুরু হওয়ার পর অষ্টমী বা নবমীর পূজার সময়েই কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারা দেশের ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। পূজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন ৭০ হাজার পুলিশ সদস্য, ১ লাখ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি। পাশাপাশি মাঠে আছেন আনসারের ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৪ জন সদস্য। এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন হাতির পিঠে আর ফিরে যাবেন মানুষের পীঠে চড়ে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর

