শাহ কামাল সবুজঃ অবশেষে পিবিআই’র জালে ধরা খেল নারায়ণগঞ্জ জেলার শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া মস্তক বিহীন অর্ধগলিত লাশের দুই হত্যাকারী।গত ২৭ আগষ্ট স্থানীয় লোকজন শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে জানায়। তারা লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
এই অজ্ঞাত নামা হত্যাকাণ্ড তদন্তের দ্বায়িত্ব পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) উপর। সম্পুর্ন ক্লু বিহীন এ হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৩দিন পরে পিবিআই ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ডিজিষ্ট (নিহত) ব্যক্তির নাম, পরিচয় বের করেন এবং উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। যা একরকম নজিরবিহীন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার পিবিআই মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ (বিপিএম) বলেন, মৃত ব্যাক্তির হাতের আঙ্গুল ছাপ প্রিন্টের মাধ্যমে তার বিস্তারিত পরিচয় সংগ্রহ করা হয়। স্ক্রিনে উঠে আসে মৃত ব্যাক্তির নাম, হাবিবুর রহমান (২৮)। পিতা, চাঁন মিয়া। কাঁচপুর, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ। এরপর দ্রুত শুরু হয় পিবিআইর তদন্ত। তদন্তে ভিকটিমের মোবাইল নাম্বার ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামী (১) গোলজার হোসেন (৩৯) পিতা, মৃত শহীদুল্লাহ (২) মোজাম্মেল (৩২) পিতা, মোসলেহ উদ্দিন উভয় কাঁচপুর, সোনারগাঁও গ্রেফতার করা হয়।
ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে অজ্ঞাত নামা লাশের পরিচয় শনাক্ত ও দ্রুত আসামী গ্রেফতার করায় এলাকায় পিবিআইয়ের কর্মকান্ড নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।