রুপসীবাংলঅ ৭১ঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারী, শোক, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার আখরে লেখা আমাদের মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাৎপর্যময় এই দিনে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। বিনম্র শ্রদ্ধায় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। মহান এই দিনে দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাভাষীদের প্রতি জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশ্বের সকল ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপণ করছি।
বাহান্ন‘র রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পেলেও সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলন করতে দীর্ঘসময় লেগেছে। বাহান্ন’র রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ৩৫ বছর পরে আমাদের প্রিয়নেতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ আইন করে সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নেন। আজ বাংলাদেশের সর্বত্র বাংলা ভাষায় সকল কার্যক্রম চলছে।
একুশের অবিনাশী চেতনা আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অসীম অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহস ও শক্তির অনন্য উৎস ছিলো আমাদের গৌরবোজ্জল রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। বাহান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সারা বিশ্বে ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় বিজয়ের প্রতিক হয়ে থাকবে।
অহংকারের একুশে মানেই, মাথা নত না করা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের মাথা উঁচু করে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগায়। একুশের চেতনা লড়াই সংগ্রামে অনুপ্রেণা যোগায় অসীম সাহসে।
বিশে^র প্রতিটি মানুষের সকল অধিকার সমুন্নত রাখার সংগ্রামে চিরদিন উৎসাহ যোগাবে আমাদের মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন।
মায়ের ভাষার জন্য জীবন দেয়ার অহংকারের ইতিহাস শুধুই আমাদের। তাই বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত অমর একুশে, আজ ”আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”।