রুপসীবাংলা ৭১ঃ অদ্য ১৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ভয়েস অব লইয়া’স বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন সাবেক সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও ভয়েস অব লইয়া’স বাংলাদেশ এর চীফ কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান এর সার্বিক তত্বাবধায়নে ভয়েস অব লইয়া’স বাংলাদেশ এর কো-অর্ডিনেটর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার। প্রধান আলোচক ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাবেক রেজিষ্টার ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইকতেদার আহমেদ, সাবেক এমপি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট জনাবা তাসমিন রানা, লেখক ও গবেষক মবিনুল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট কে এম জাবির, ঢাকা মেট্রো বার এর সাবেক সভাপতি এড. আবেদ রাজা, প্রেসিডেন্ট ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট সুপ্রীম কোর্ট শাখার সভাপতি এড. শাহ আহম্মদ বাদল, এডভোকেট মনির হোসেন, ড. এডভোকেট ইউনুুস আলী আকন্দ, এডভোকেট মতি লাল বেপারী। ভয়েস অব লইয়া’স বাংলাদেশ এর পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এড. পারভেজ হোসাইন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ভয়েস অব লইয়া’স বাংলাদেশ এর চীফ কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান। আলোচিত বিষয় ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ কি নোর্ট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন করে গড়তে বর্তমান শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশে শিক্ষিত মূর্খ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে স্বৈরাচারী শাসন জারি রাখা যায়। তিনি আরো বলেন শিক্ষা ব্যবস্থা ও চলমান কারিকুলাম নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তেমন মাথা ব্যাথা নেই। সমাজের প্রভাবশালীরা সন্তানদের পড়া লেখার জন্য বিদেশ পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে বিলাসী জীবন-যাপন করছেন। এ অবস্থায় জনগণকে শুধু সচেতন হলেই চলবে না, কার্যকরী ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, চ লমান শিক্ষা কারিকুলাম ট্রান্সজেন্ডার দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে আশার কিছু থাকবে না। এ ব্যবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। শিক্ষা কারিকুলামের ব্যাপারে সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
কি নোর্ট স্পীকার তার লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সমগ্র শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন করা, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু পুনরায় লিখা, শরীফার বিতর্কিত গল্পটি অবিলম্বে বাদ দেয়া, বাংলাদেশ খএইঞছওঅ+ এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করা, ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ অর্থে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি ব্যবহার না করা, ট্রান্সজেন্ডারদের ধূর্ততা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের রক্ষা করা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়ন করা, ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি।
চীফ কো অর্ডিনেটর তার বক্তব্যে বলেন, দেশ ও জাতি ধ্বংসের যে কোন ইস্যুতে ভয়েস অব লইয়া’স বাংলাদেশ সর্বদা সোচ্চার এবং প্রতিবাদী ভূমিকা রাখবেন ইনশাহ আল্লাহ। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের নিকট প্রশ্ন রাখেন, শিশুদের নিয়ে কেন এই জেন্ডার রাজনীতি? এই গল্পকিট কি শিশুদের জন্য উপযুক্ত? ব্যক্তিগত অনুভূতি কি সর্বোচ্চ নিয়ম (মৎধহফ ৎঁষব) নাকি সর্বদা ন্যায়সঙ্গত (ধষধিুং লঁংঃরভরবফ)? কেউ হেলমেট না পরে মোটর সাইকেল চালাতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কি তাকে অনুমতি দেবেন? কেউ অস্ত্রোপচার করে অন্ধ হতে চাইলে সরকার কি তাকে অনুমতি দেবেন? এ বিতর্ক অতিসত্বর নিরসনের আহ্বান জানান।
সেমিনারের সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ নিয়ে ২১ দফা দাবি পেশ করেন এবং সংস্কৃতি বিষয়ে কিছু প্রস্তাবলীও পেশ করেন। যা উপস্থিত সকলে উত্থাপিত দাবির প্রতি সম্মতি প্রকাশ করেন। সভাপতি আরো বলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফকে প্রধান করে অতিসত্বর শিক্ষা কমিশন গঠনে প্রস্তাবনা পেশ করলে তা সকলে একাত্মতা ঘোষণা করেন।