রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : বিবাহবিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলতে গিয়ে এক চরম সিদ্ধান্ত নেন থাইল্যান্ডের এক ব্যক্তি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তিনি খাবার বন্ধ করে দেন এবং টানা এক মাস ধরে শুধু বিয়ার পান করে দিন কাটাতে থাকেন। ৪৪ বছর বয়সী ওই যুবকের এই বিপজ্জনক অভ্যাস শেষমেশ প্রাণঘাতী প্রমাণিত হয়। প্রতিদিন বোতলের পর বোতল বিয়ার খেয়ে তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে একদিন ছেলে স্কুল থেকে ফিরে দেখতে পায়—বাবা মেঝেতে পড়ে ছটফট করছেন, খিঁচুনি উঠছে শরীরে।
দ্রুত সাহায্যের চেষ্টা করা হলেও প্যারামেডিক পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয় যুবকের। সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। রায়ং প্রদেশের বান চ্যাং জেলার বাসিন্দা থাওয়েসাক নামওংসা নামের এক ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে এক মাস ধরে কোনো রকম খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন।
তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে কেবল বিয়ার পান করেছিলেন। যদিও তার ১৬ বছর বয়সী ছেলে তাকে প্রতি দিন টাটকা খাবার তৈরি করে খাওয়ানোর জন্য বহু সাধ্যসাধনা করত। থাওয়েসাকের ছেলে পুলিশকে বলে, ‘আমি প্রতিদিন নিজের জন্য রান্না করতাম এবং আমার বাবাকে আমার সঙ্গে খেতে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু তিনি খেতে চাননি।
সারা দিন বোতলের পর বোতল বিয়ার পান করে বেঁচেছিলেন। সারা দিন আর কিছুই করতেন না বাবা।’ঘটনার দিন স্কুল থেকে ফিরে এসে ছেলে দেখতে পায়, তার বাবা মেঝেতে পড়ে ছটফট করছেন। প্রবল খিঁচুনি শুরু হয়, এরপর অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। জরুরি সহায়তার জন্য ফোন করা হলেও প্যারামেডিক দল পৌঁছানোর আগেই থাওয়েসাকের মৃত্যু হয়।
প্যারামেডিক ও পুলিশের ভাষ্য মতে, ঘরের অবস্থা ছিল চরমভাবে অব্যবস্থিত। মেঝেজুড়ে ছড়িয়ে ছিল শতাধিক খালি বিয়ারের বোতল। চলাফেরার মতো জায়গাও অবশিষ্ট ছিল না।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের ফলেই থাওয়েসাকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মানসিক বিপর্যয়ের কারণে অস্বাভাবিক আচরণ ও অতিরিক্ত মদ্যপানকেই প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : আনন্দবাজার
রুপসীবাংলা৭১/এআর