রুপসীবাংলা৭১ আইন ও আদালত ডেস্ক : ২০০৬ সালে রাজধানীর বাসাবোতে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার আসামি এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার সাজা পরোয়ানা ঘোষণা করেছেন আদালত। ওই আসামির নাম মো. আজাদুল।
গত মঙ্গলবার এ সাজা পরোয়ানা ঘোষণা করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫ এর বিচারক মো. শামছুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে ২০১৮ সালে মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সিনয়র জেলা ও দায়রা জজ তানজিনা ঈসমাইল। কিন্ত আসামি পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানা ঘোষণা হয়নি। পলাতক এ আসামিকে গ্রেপ্তারে গত বছর পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ বছরের জুন মাসে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে ২০০৬ সালে মামার সঙ্গে ঢাকা আসে ময়মমসিংহের ১২ বছর বয়সী এক শিশু। গৃহকর্তার বাড়িতে অত্যাচারের শিকার হয়ে এপ্রিলে বাসা থেকে না বলে চলে যায় সে। যাত্রাবাড়ী মোড়ে পৌঁছালে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. আজাদুল কান্নারত অবস্থায় দেখেন তাকে। মহাখালী পৌঁছে দেওয়ার নামে শিশুটিকে নিজের বাসায় নিয়ে যান আজাদুল। পরে ৯ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তাকে। এলাকার লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বাসা থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৯ এপ্রিল সবুজবাগ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ ছাড়া জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। এর মধ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা ভিকটিমকেও দেওয়ার নির্দেশনা দেন আদালত।
রুপসীবাংলা৭১/এআর