রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) হযরত বিবি খাদিজা ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারীদের দিয়ে কক্ষ তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে। এ ঞটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন হলের শিক্ষার্থীরা। এর আগে এদিন সন্ধ্যার পর এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই ছাত্রীদের কক্ষে তল্লাশি চালান কয়েকজন নারী ও পুরুষ স্টাফ। এতে ছাত্রীরা চরম অপ্রস্তুত ও অপমানিত বোধ করেন।
হলের বিভিন্ন কক্ষে বৈদ্যুতিক চুলাসহ অবৈধ সামগ্রী উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একাধিক পুরুষ কর্মচারী অতর্কিতভাবে কক্ষে ঢুকে তল্লাশি চালান, যা তাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর ছিল।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলের নিচতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। রাত সোয়া ১টার দিকে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আবদুল কাইয়ুম মাসুদ, অধ্যাপক শফিকুর রহমানসহ কয়েকজন সহকারী হল প্রভোস্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে রাত আনুমানিক ২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কক্ষে ফিরে যান।
হলে অবস্থানরত একাধিক ছাত্রী জানান, ঘটনার সময় তারা বিশ্রামে ছিলেন বা ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছিলেন। এক ছাত্রী বলেন, “ওড়না পরারও সুযোগ পাইনি। হঠাৎ পুরুষ স্টাফদের উপস্থিতি খুবই বিব্রতকর ও ভীতিকর ছিল।”
আরেকজন জানান, “ঘুমিয়ে ছিলাম, কোনো নক না করেই রুমে ঢুকে পড়ে স্টাফরা। এমন আচরণ কতটা যৌক্তিক?”
আরেক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রভোস্ট ম্যাডাম ছাড়াও ডাইনিংয়ের মামা, অফিসের ছেলেরা, এমনকি কিছু স্যার পর্যন্ত আমাদের রুমে ঢুকে পড়েন। আমি পর্দা মেনে চলি, এটা ছিল সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত।”
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল কাইয়ুম মাসুদ জানান, “মেয়েদের হলে পুরুষ স্টাফ আগে ঢোকার কথা নয়। আজকের অভিযানের সময় আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম। কাল গিয়ে যাচাই করে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করব।”
এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর