আসলাম ইকবালঃ শীতল আভার শীতের সকাল। সম্প্রতি জানুয়ারীর প্রথম হঠাৎ থমকে দাঁড়ালো সময়। দৈনিক রুটিনের বাইরে আজ মোহাম্মদপুর গার্লস হাই স্কুল। শিক্ষার্থী,শিক্ষক-কর্মচারী,পরিচালনা পর্ষদের সদস্য প্রতিটা প্রাণে নব প্রাণসঞ্চার। একঘেয়েমির জীবন থেকে জীবন কে ফিরিয়ে আনতে এক সফরে যাওয়া হবে ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডম থিম পার্কে। শিক্ষাকে সামনে রেখে যে সফর তা-ই-তো শিক্ষা সফর। জীবনের প্রতিটি উপলক্ষ্য, প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি উপাদান থেকেই আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। কিছুদিন আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের ঘুম নেই কে কোন রঙের ড্রেস পরবে, কি কি ভাবে সময় কাটাবে,কে কোন পারফর্ম করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন সরকার এবং দুই সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের সফল প্রস্তুতি শেষে ছাত্রীদের এক বিশাল বহর নিয়ে সকাল সকাল প্রতীক্ষিত সেই রোমাঞ্চকর যাত্রায় সামিল হলো সাতটি বড় বাস ও একটি মাইক্রোবাস।বাসে উঠেই সকালের নাস্তা সেরে শুরু হলো শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা নাচ-গান, আবৃত্তি। কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আত্মবিশ্বাসের কোনো কমতি নেই কারো। সারাটা পথ অদম্য প্রাণশক্তি তে ভরপুর সবাই। গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তাঁদের কি আনন্দ! আকাশ বাতাস মুখর করে তার প্রকাশ। নানাবিধ রাইডে চড়া, আড্ডায় আড্ডায় মশগুল থাকা, ফাঁকে ফাঁকে ছবি তোলা কখনো গ্রুপে কখনো সেলফি। কেউবা শীতের ঠান্ডা উপেক্ষা করে ওয়াটার কিংডম দাপিয়ে বেড়ানো। দেখে মন ভরে যায়।
দুপুরের খাবার খেয়ে যে যার মতো সময় পার করছে।এর ই মাঝে চলছে লটারির কুপন বিক্রির ধুম। নানান আনন্দে বয়ে গেল সময়। নেমে এলো সন্ধ্যা। শুরু হলো যার যার প্রতিভা দেখানোর আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।একের পর এক পারফরম্যান্স। শিক্ষার্থীদের প্রাণশক্তি বিষ্ময়কর। কোন ক্লান্তি নেই যেন। প্রধান শিক্ষক তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের রুখে কে আজ। আরও কিছু ক্ষণ আরও কিছু সময় চেয়ে নিচ্ছে বারবার। ফিরতে চাইছে না কেউ। কিন্তু ফিরতে তো হবে। অবশেষে ফেরা হলো।একবুক স্মৃতি নিয়ে। ভ্রমণে সর্বদা আনন্দ বিরাজ করে। শিক্ষার্থীকে আত্মবিশ্বাসী করে, সাহসী করে। ভ্রমণের আয়ু কম হলেও তা হয় আলোকময়। ছবিঃ রিপন ও মিন্টু।