নিজস্বপ্রতিবেদক: ভুয়া রশিদের মাধ্যমে গ্রাহকদের ৩ কোটি টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার জয়পাড়া শাখার শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি দোহারের বিলাশপুরের সাবেক চেয়ারম্যান ও একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গত ৩ ফেব্রুয়ারি আমার মালিকানাধীন মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের পুরোনো একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে খোঁজ নিতে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক জয়পাড়া শাখায় গেলে তৎকালীন ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম আমাকে জানান অ্যাকাউন্টটি বন্ধ। ম্যানেজার বলেন দুই হাজার টাকা জমা করলেই অ্যাকাউন্টটি পুনরায় সচল হবে। আমি এতে দুই হাজার টাকা জমা দিলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্টটি সচল হয়ে যায়। একই তারিখে আমি ব্যবস্থাপকের রুমে বসে মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজের সেই অ্যাকাউন্টে নগদ পাঁচ লাখ টাকার চেক জমা দিই। তখন তিনি আমাকে মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রশিদ (এমটিডিআর) সম্পর্কে প্রলুব্ধ করেন। আমি ব্যবস্থাপকের কথা বিশ্বাস করে গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক জয়পাড়া শাখায় গিয়ে তার রুমে বসে তার হাতে মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রশিদ (এমটিডিআর) করার জন্য ৯০ লাখ টাকার মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের একটি চেক দিই। তিনি বলেন, প্রায় ১ মাস পর ২ মার্চ তারিখে মুদারাবা টার্মটি নগদায়নের জন্য আমি আবারও শাখায় গিয়ে আরও ১০ লাখ টাকাসহ মোট এক কোটি টাকার নতুন মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রশিদ করার আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমার কাছে ৫ দিন সময় নেয়। পরে ওই শাখার নতুন ব্যবস্থাপক আমাকে একটি চিঠি ইস্যু করেন যে আমার মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রশিদটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে ইস্যু করেননি, রশিদটি জাল। এছাড়াও একই শাখায় অন্যান্য গ্রাহক আবুল হোসেনের ২০ লাখ টাকা, মাহমুদা আক্তার লাকি ৩০ লাখ টাকা, বোরহানুল হক, ৩০ লাখ টাকা, জামাল আহম্মেদ ১৫ লাখ টাকা, রোকছানা আক্তার, ৪৫ লাখ টাকা, ফাতেমা আক্তারের ২টি ডিপজিট থেকে ৩২ লাখ টাকা জাল রশিদ দিয়ে প্রতারণা করেন।শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক জয়পাড়া শাখার ফাস্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুল রাকিব তালুকদার জয়পাড়া শাখার সাবেক ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোহার থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।