ইকবাল হোসেনঃ মানববন্ধনে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পে ২০০৪ সালে প্লট বুকিং করি এবং শেষ কিস্তি ২০১০ সালে দিকে ই.এফ, জি, ও, ডি ব্লকের প্লটের সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ করার পরও আমাদের প্লট বসুন্ধরা গ্রুপ বুঝিয়ে দিচ্ছে না।
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট ই এফ জি ডি ব্লক
ওনার এসোসিয়েশন এর মানববন্ধন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম নাদিমুজ্জামান শামীম এই কথা বলেন।
এম নাদিমুজ্জামান শামীম বলেন,বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পে ২০০৪ সালে প্লট বুকিং করে এবং শেষ কিস্তি ২০১০ সালে দিয়ে ই.এফ, জি, ও, ডি ব্লকের প্লটের সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ করা হয়। অনেকে ইউটিলিটির টাকাও পরিশোধ করে কিন্তু প্লট বুঝিয়ে না দিয়ে ইউটিলিটির টাকা নেওয়া প্রতারণার সামিল।
তিনি বলেন এখন প্রায় ১২ থেকে ১৮ বছর হতে চলছে কোন প্লট দিতে পরছে না এবং কখন দিবে সেটাও বলছে না। কোন মাটি ভরাটের কাজও দেখা যাচ্ছে না। বসুন্ধরা অফিসে গেলে বলে প্লট পাবেন কিন্তু খুজ নিয়ে দেখা গেছে বসুন্ধরার রিভার ভিউর নিজস্ব ২০০ বিঘা জমি আছে। কিন্তু প্লটের জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, প্লটের প্রায় সর্বমোট তিন হাজার কোটি (৩০০০ কোটি) টাকারও বেশী বসুন্ধরা গত ১২-১৮ বছর এই টাকা অন্যত্র বিভিন্ন ব্যবসার বিনিয়োগ করিয়াছেন কিন্তু আমাদের জায়গা দেয় নাই এবং উক্ত প্রজেক্টের কোন কাজ কিংবা নতুন কোন জমি ক্রয় করে নাই। এখন আমরা আমাদের প্লট চাই কিন্তু বসুন্ধরা কৃর্তপক্ষ একটি মাফিয়া চক্র, ভূমি দশ্য। প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আমাদের কষ্টার্জিত টাকা আত্মাসাৎ করার পায়তারার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন,আমাদের অনেক কষ্টের টাকা ,আমরা প্লটের টাকা ফেরত চাই না,আমাদের প্লট দিতে হবে,বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট আমাদের প্লট পাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করছি।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট ই এফ জি ডি ব্লক ওনার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম নাদিমুজ্জামান শামীম, উপস্থিত ছিলেন গাজী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, আনিছুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।