নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাসিক ইতিহাস অন্বেষার উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে দক্ষ জনসম্পদ উন্নয়নে সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি (অব.) সাইয়েদ জে.আর মোদাচ্ছের হোসেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডুয়েট এর সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এবং সভাপতিত্ব করেন মাসিক ইতিহাস অন্বেষার প্রকাশক ও সম্পাদক এস.এম নজরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন থেকে রক্ষায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত-পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের প্রতি সমবেদনা এবং যারা আন্দোলনকে বিজয়ে রূপান্তরিত করেছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে উপযুক্তস্থানে প্রতিস্থাপন করে দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ৫ আগস্ট রাতে আল্টিমেটাম দিয়ে আয়নাঘরের বন্দীদের মুক্ত করে নিজ হেফাজতে নেওয়া ব্রি. (অব.) হাসান নাসির, হক ভয়েস এর প্রতিষ্ঠাতা ও ১লা আগস্ট ফেসবুক লাইভে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে বর্তমান সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে জনগণের বুকে গুলি না চালানোর আহ্বানকারী ও পলাতক সরকারকে হুশিয়ারী প্রদানকারী কর্ণেল (অব.) আবদুল হক, ফ্রেন্ডস অফ গ্রামীণ এর সদস্য সচিব (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) মোহাম্মদ রাদওয়ান হোসেন, দি ইন্ডিয়া ডকট্রিন বইয়ের লেখক ব্যারিস্টার এম.বি.আই মুন্সি, সাবেক যুগ্ম সচিব ও কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল, পেট্টোবাংলার ডিরেক্টর অপারেশন (গ্যাস ট্রান্সমিশন) প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইসহাক উদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সরকার, ডেসকোর সুপারিটেন্ডেন্ট ইঞ্জি. প্রকৌশলী মো. সায়েদুর রহমান ও সুপ্রীম কোর্ট এর সিনিয়র আইনজীবী এড. মো. মাকছুদ আলম।
বিশেষ অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ তার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে ধন্য। আমরা আশা করবো, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও দেশপ্রেমিকদেরকে যথাযথ স্থানে দায়িত্ব প্রদান করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে এস.এম নজরুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার হয়েছে। রাম-বাম ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বিজয়ী হয়েছে।