নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দারিদ্র উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করে থাকে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে দায়িত্ব দিয়ে থাকে। সেই দায়িত্ব প্রাপ্তরা যদি হয় আত্মসাতকারী তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? তেমনই একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগীগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানা যায়। এ বিষয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুঠো ফোন (৪৬৭) লাস্ট নম্বরে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি জানান তিনি একটি মিটিং এ আছেন পরবতীতে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কাছ থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীদের একটাই দাবী যে, সুতারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোতালেব ও তার ভাই মাধ্যমে হত দরিদ্র প্রকল্পের (৪০)দিনের কর্মসূচির পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করেন বলে জানান।
অভিযোগে আরো বলা হয়,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাহমুদার দাখিলকৃত ৬নং ওয়ার্ডে বুরিরবাধ-জহিরাবাদ পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ ৭৭ জন লেবার দেখিয়ে পাশ করিয়ে ঐ সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে পুরো টাকাই কামাল চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিরা আত্মসাৎ করেন বলে জানান। ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মতি মিয়া কামাল চেয়ারম্যানের অন্যতম অংশীদার। ঐ ওয়ার্ডের মুর্শিদ আলম, মুজিবুর, মোখলেছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন , প্রায় ২ বছর ৬ মাস পূর্বে তাদের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করিয়ে তাদের নামে মোবাইল কোম্পানীর সিম রেজিস্ট্রেশন করেন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আলপনা। মতি মেম্বার ও আল্পনা মিলে কামাল চেয়ারম্যানের হত দরিদ্র প্রকল্পে ২৯৮ জনের ১৬,৫০০ টাকা করে ৫ বারে প্রায় ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। অথচ যাদের নামে বরাদ্দ তারা কিছুই জানেন না।এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুল্লাহ ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দাখিল করেন। {দাখিলের কপি রয়েছে}
ভুক্তভোগীদের এখন একটাই চাওয়া যে তাদের টাকার দরকার নাই কিন্তু তাদের নামে নিবন্ধিত মোবাইল কোম্পানীর সিমগুলো তাদের হাতে ফেরত দেওয়া হোক। সিমগুলোর ব্যপারে তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। তাদের সিমগুলো যদি চেয়ারম্যান কিংবা তাদের লোকেরা কোন খারাপ কাজে ব্যাবহার করে তাদের ফাসিয়ে দিতে পারে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন।
কামাল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া যায়- সেটি হলো উত্তর গনেশপুর খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ার বিষয় সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অনৈতিক ভাবে নিজে লাভবান হওয়া। পাওয়ার জন্য সুজন রবিদাস (পাটনী) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে ২লাখ টাকায় ইজারা পাওয়ার জন্য আবেদন করে ৫০ হাজার টাকা বিডি প্রদান করেন। জনস্রূতি রয়েছে কামাল চেয়ারম্যান নিজে চার লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে মাত্র ১৯৫০০ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে নিজ প্যাডে লিখিত করে জুবায়েদুল্লাহকে ঘাটের ইজারা বুঝিয়ে দেওয়ার। যেখানে প্রতিদিন ২৫০০-৩০০০ লোক খেয়া পারাপার হয়,জনপ্রতি ৫টাকা হিসেবে ভাড়া আদায় করা হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। প্রত্যেকটি প্রকল্পের কাজ স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে লেবার দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছে। খেয়াঘাট ইজারার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মৌখিক নির্দেশে করা হয়েছে। তিনি বলেন ঘাটের ইজারা না পেয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্য ও বিভ্রান্তী ছড়াচ্ছে।