নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৩ জুন,বিশ্ব বাই সাইকেল দিবস পালনে দেশের সাইক্লিস্টরা প্রকৃত ভাবে কোন উপকৃত হচ্ছে না-এ.আই.টুববুস। একটি প্রবাদ আছে দইওয়ালা দই খায় না,সাইকেল ওয়ালা সাইকেল চালায় না ” বর্তমান চা ও বিস্কিট থেকে শুরু করে পৃথিবীতে অসংখ্য দিবস পালন করা হয়,২০১০ও১২ সালে তখন সাইক্লিং বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোন দিবস ছিল না, দেশে প্রথম সাইক্লিস্টদের অধিকার ও মর্যাদার রক্ষার্থে বাই সাইকেল দিবসের দাবীতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী শুরু করলে অনেকেই এ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা শুরু করে এবং অনেক প্রচারে চলে আসে তখন কিছু সংখ্য মানুষ হুমকি দেন,এটি আমরা পালন করব, বড় প্রতিষ্ঠান থেকে তুমি পালন করতে পারবে না,উত্তরে বলেছি,আমি তো ধারাবাহিক ভাবে পালন করে আসছি, সন্তান জন্মদিলে পালন করতে হয়,আপনারা করুন, আমাকেও করতে দিন,আমি যতোদিন বেঁচে আছি লালন করে যাব,কেউ কেউ পাগলের প্রলাপ বলেও কুটক্তি করতে ছাড়েনি,এ.আই.টুববুস কে,এই আন্দোলনের সঙ্গে দেশের অনেক সাইক্লিস্ট যোদ্ধাদের শুনতে হয়েছেঅনেক কথা।
তাদের নাম হয়তো এ প্রজন্মের সাইক্লিস্টরা অনেকেই জানেনা,এ দাবি কে দেশে প্রথম দাবি উপস্থাপন করেছেন এর সঠিক ইতিহাস আমার জানা নেই তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এমন দাবি নিয়ে মানববন্ধন করতে দেখা যায় । এই আন্দোলনের সঙ্গে যারা ধারাবাহিক ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, বাংলাদেশ সাইকেল ফেডারেশন ডাব্লু বিবি ট্রাক, ঢাকা সাইক্লিংক্লাব, হবিগঞ্জ, লাল সবুজ সাইক্লিং ক্লাব, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ, কেরানীগঞ্জ সাইক্লিস্ট,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাইক্লিং ক্লাব সহ ছোট ছোট অনেক সংগঠন,-আন্দলোনের সুদীর্ঘ ফসল ও সাইক্লিস্ট এর জন্য সুখবর।
১২ এপ্রিল ২০১৮, ৭২তম নিয়মিত অধিবেশনে,জাতিসংঘ কর্তৃক ৩ জুন, বিশ্ব বাইসাইকেল ডে ঘোষণা করা হয়,এ, সিদ্ধান্তকে পরিষদের সভাপতি মো:আমিনুল ইসলাম টুববুস,স্বাগত জানিয়ে, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ বিশ্ববাসীর সাথে একইদিনে তৎকালীন সময় থেকে অদ্যবধী দিবসটি পালন করে আসছে,এ দিবস কে সামনে রেখে তিনি বলেন,দেশে বিশ্ব বাই সাইকেল দিবস পালনে দেশের সাইক্লিস্টরা প্রকৃত ভাবে এখনো কোন উপকৃত হচ্ছে না,বাই সাইকেল কেবল একটিপণ্য,এখানে বাই সাইকেলেরবাণিজ্য হচ্ছে,cyclest এর মর্যাদা ও সুরক্ষায় সাজিকসেবা থেকে অনেকে পিচু হঠচ্ছে। প্রজন্মরা সঠিকভাবে ব্যবহার ও সুফল বয়ে আনতে পারছে না,এর অন্যতম কারণ, সমন্বয়ের অভাব, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন না করা, নতুন নতুন সংগঠনসৃষ্টি হওয়া মানে এই নয়,দ্বন্দ্বের দেয়াল তৈরি করা, সামাজিক ও পরিবেশ স্বার্থে সাইক্লিস্টদের নিরাপদ পথ চলারজোরালো সাইকেল লেন বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা সম্পৃক্ত ও সমন্বয় তৈরী করতে বরাবর ব্যর্থ হচ্ছি, সঠিক সচেতনতার অভাবওপরিকল্পিত পরিবেশ বান্ধব সড়ক না থাকায় অসহনীয় যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়,
বর্তমান রাজধানীর যানজট রোধে যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরকার মেট্রোরেল ও সাবওয়ে নির্মাণ করেছে। কিন্তু রাজধানীতে যে পরিমাণে দিনকের দিন মানুষের চাপ বাড়ছে, তাতে মেট্রোরেল এবং সাবওয়ে রাজধানীর যানজট খুব একটা কমাতে পারছে না। কেননা, মেট্রোরেল এবং সাবওয়ে যে পরিমাণ যাত্রী বহন করে তার চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি মানুষ যাতায়াত করে সারফেস রুটের বাস সার্ভিস, অন্যান্য যানবাহনে,প্রতি বছর এ সমস্যা সমাধানের জন্য নানান পরিকল্পনা ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন,পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পনা করা যায় খুব সহজে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়,প্রত্যেক যানবাহনের জন্য আলাদা আলাদা লেন থাকা অত্যন্ত জরুরি, এর থেকে পরিত্রাণের উপায় আমাদের সঠিকসমস্যা চিহ্নিত করা,বাইসাইকেল পারে সকল সমস্যা সমাধান দূর করতে বাইসাইকেল উন্নত বিশ্বে পৃথিবীর অনেক দেশে সাইকেল কেন্দ্রিকনেটওয়ার্ক যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে,পৃথিবী বাসযোগ্য গড়ে তুলতে হলে দেশে যত বেশি সাইকেল লেন তৈরী হবে, ততবেশি কার্বন নিঃসরণ কমাতে সক্ষম হব, আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতেযতদিন cyclest এর মর্যাদা ও সুরক্ষা প্রতিষ্ঠিত না হবে,ততদিন বাই সাইকেল কেবল একটি পণ্যতে পরিনিত হয়ে থাকবে, বাই সাইকেল,বহির্বিশ্বে পাশাপাশি দেশের বেকার বিভিন্ন বয়সীদের কাছেলাইফ ইস্টাইল ও জীবন জীবিকা সমন্বয়ে আয়ের একটি উৎস,একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সহজ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে যাচ্ছে কেবল।নাগরিক সুস্বাস্থ্য গঠন,পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, যানজট নিরসন ও নিরাপদ পথচলার মাধ্যম হিসাবে সাইকেল লেন হতে পারে, নগর যানজট দূরীকরণ, কৃষি, শিল্প, বানিজ্য, পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে
সাইক্লিং একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম অপরিহার্য উপাদান এবং সর্বমহলে নিরাপদ সুনিশ্চিত প্রতীক , যার যার জায়গা থেকে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসের পাশাপাশি ও সাইক্লিং ও সাইকেল লেন দিবস এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা জরুরি এতে সাইকেল উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবেজনগণের চলাচলে ব্যয় সাশ্রয় হবে, জীবাস্ম জ্বালানী তথা প্রেট্রোল, ডিজেল, অকটেন চালিত গাড়ীর ও জীবাস্ম জ্বালানীর আমদানী হ্রাস পেয়ে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সহ দেশের নাগরিক দীর্ঘকার দেহের অধিকারী, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় হ্রাস করবে, সর্বোপরি শহরাঞ্চলের যানজট হ্রাস করে কর্মঘন্টা বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য এর উন্নয়ন ঘটাবে। এমন দাবি আমরা সরকারের কাছে বরাবর করে আসছি, এ-র সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মরা ধীরে গতিতে পাচ্ছে, শিশু না কাঁদলে মা দুধ দেয় না,আমাদের দাবি ছাড়া কোনো পথ নেই, শুরুতেই বলেছিলাম দইওয়ালা দই খায় না,সাইকেল ওয়ালা সাইকেল চালায় না ” এ-র অর্থ হল, দই ওয়ালা, যদি দই খেতেন, দইয়ের ভালো-মন্দ, বুঝতে সক্ষম হতেন,বড় বড় সাইকেল ব্যবসায়ীরা যদি নিয়মিত সাইকেল চালাতেন তাহলে বুঝতেন সাইক্লিস্টদের নিরাপত্তার কথা, আমাদের সাইকেল সংগঠন, বাই সাইকেল ব্যবসায়ীকে কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। বাণিজ্যিক পাশাপাশি সাইক্লিস্টদের সুযোগ সুবিধার স্বার্থে পার্কিং সু ব্যবস্থা ও বাইসাইকেল লেন বাস্তবায়ন করা এবং সহজ কিস্তিতে সাইকেল বিক্রয় করাআরো দুটি দিবস সাইক্লিং ও সাইকেল লেন দিবস পালন সহ সামাজিকসেবায় এগিয়ে আসার আহ্বানে সকল সাইক্লিস্টদের বিশ্ব বাই সাইকেল দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।