ইকবাল হোসেনঃ ডাক বিভাগের ইডি কর্মচারীদের কে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বয়স নির্ধারণ করা পূর্বক নীতিমালা প্রনয়ন,কাজের পরিধি নির্ধারন পূর্বক রাজস্ব আয়ে সম্প্রিক্ত করন, দ্রুত বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সহ অভিন্ন নিয়োগ কাঠামো করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশ১৭-২০গ্ৰেড ইডি ডাক কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি।
শুক্রবার ৩১’মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৭-২০ গ্ৰেড ইডি ডাক কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি ডাক বিভাগের ইডি প্রথা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি বলেন আমরা অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি,স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের ডাকা ব্যবস্থা সচল রাখতে আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ৩৫ টাকা সম্মানি ভাতায় কাজ শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় পায়ে হেঁটে, সাইকেলে কিংবা নৌকায় চড়ে গ্রাম থেকে গ্রামে ডাক দ্রব্যাদি বিলি করেছি।আমাদের যৌবনের দিনগুলো আমরা পথে-ঘাটে পার করেছি। আজ আমরা অসহায় ও হতদরিদ্র কর্মচারীরা অনেকে জটিল রোগে আক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে ছেলে-মেয়েদের পর্যাপ্ত লেখাপড়া,চিকিৎসা সহ ভরণপোষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।আমাদের মাসিক মাত্র চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা।
সরকারি অফিসে কাজ করেও আমরা কোনো প্রকার ঈদ বোনাস, উৎসব ভাতা ও নববর্ষ ভাতা পাই না। আমরাও বর্তমান সরকারের উন্নয়নশীল দেশের একজন স্মার্ট কর্মচারী হতে চাই।
আমাদের দাবি সমুহ হল;-
√ বর্তমান বাজার দর বিবেচনায় করে জাতীয় স্কেলে বেতন ভাতা প্রদান।
√অতিরিক্ত বিভাগীয় ইডি কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা।
√ইডি কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত অর্থ কর্মচারীদের মাঝে বরাদ্দের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রতি ছয় মাস অন্তর নির্দিষ্ট কমিটির সভার মাধ্যমে কর্মচারীদের আবেদন বিবেচনা করে মঞ্জুরি প্রদান।
√সরকারি কর্মচারীদের মতো সব ধরনের ছুটি ভোগের সুযোগ সৃষ্টি করা।
√সরকারি কর্মচারীদের মতো সব ধরনের উৎসব ভাতা প্রদান।
√সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি স্মার্ট ডাক সেবাদানে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও বাস্তব প্রশিক্ষণ দেওয়া।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন,বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড ইডি ডাক কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ।