ইকবাল হোসেনঃ আজ থেকে শুরু হয়েছে আমাদের সফল রাষ্ট্র নায়ক জিয়াউর রহমান এর মৃত্যু বার্ষিকী, তিনি তো রাজনীতি করেন নি, বাংলাদেশের কান্তি সময় তিনি দেশের হাল ধরেছিল ,তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারি হয়ে শহিদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন এবং যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। স্বাধীনতা-উত্তর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত হয় ঠিক সেই সংকটের এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন বলেন তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার ২৮মে জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস । মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা এর উদ্যোগে আহবাব চৌধুরী খোকন এর সম্পাদনায় জিয়াউর রহমান অনন্য রাষ্ট্রনায়ক গ্ৰন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,আজ থেকে শুরু হয়েছে আমাদের সফল রাষ্ট্র নায়ক জিয়াউর রহমান এর মৃত্যু বার্ষিকী, তিনি তো রাজনীতি করেন নি, বাংলাদেশের কান্তি সময় তিনি দেশের হাল ধরেছিল ,তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারি হয়ে শহিদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন এবং যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। স্বাধীনতা-উত্তর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত হয় ঠিক সেই সংকটের এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন।
রিজভী বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির অপরাজনীতি দ্বারা জনগণকে প্রতারিত করে স্বাধীনতা-উত্তর ক্ষমতাসীন মহল যখন মানুষের বাক, ব্যক্তিস্বাধীনতাকে হরণ করে গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়েছিল, দেশকে ঠেলে দিয়েছিল দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আন্তর্জাতিক খেতাবপ্রাপ্ত হতে হয়, জাতির এ রকম এক চরম দুঃসময়ে ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহিদ জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। শহিদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই আমাদের জাতিসত্তার সঠিক স্বরূপটি ফুটে ওঠে, যা আমাদের ভৌগোলিক জাতিসত্তার সুনির্দিষ্ট পরিচয় দান করে। বিশ্বমানচিত্রে আমাদের আÍপরিচয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
রিজভী আরো বলেন, আজ দেশের নাগরিকদের সব অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষ যেন একটি বেড়ার মধ্যে বাস করছে। তাদের নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের উচিত জনগণের কাছে যাওয়া। তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের নামে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। যমুনা সেতুতে রেললাইন থাকা সত্ত্বেও আরেকটি রেলসেতু করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অথচ সিগন্যাল সিস্টেম উন্নত করা এবং ডাবল লাইন করলেই কিন্তু যানজট ও জনগণের ভোগান্তি হতো না। গতকালকে ঘূর্ণিঝড় এর পর মেট্রোরেলের যাত্রীদের ভোগান্তি প্রমাণ করে তাদের উন্নয়নের নমুনা।
তিনি আরো বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি করতে দেননি বলে ষড়যন্ত্র করছে। আপনি যাদের বলছেন, তারা তো বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছেন।
উক্ত গ্ৰন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বক্তব্য রাখেন, মীর শরাফত আলী সফু,অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম,রাশেদুল হক, তারিকুজ্জামান, তারেক,ইজমা হোসেন পাইলট,আবাদ চৌধুরী খোকন জাহাঙ্গীর আলম,আলম বেপারী, মোঃ ফিরোজ,সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।