ইকবাল হোসেনঃ বৃহস্পতিবার ২৩ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম মিলনায়তনে, হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র আল কুরআন প্রদর্শন আয়োজক কমিটির উদ্যোগে, হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র আল কুরআন লেখা সমাপ্ত উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন,
ধর্ম মন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, বলেন -বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অন্যতম একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, এদেশে প্রায় ৯০% মানুষ মুসলিম। বাংলাদেশের সকল মুমিন মুসলমানগণ কুরআনুল কারিমকে ভালোবাসে, কোরআনুল কারিম সকল মানুষের জীবন বিধান, আর এই মহাগ্রন্থ আল কুরআনে রয়েছে মানব জাতির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত হেদায়েত। মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাযিল করেছি এবং আমিই তা সংরক্ষণ করব (সূরা হিজর)’। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হস্তলিখিত কোরআন শরীফ।
, তিনি বলেন,আমাদের জানা মতে, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো হস্তলিখিত কোরআনুল কারিম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা পবিত্র আল-কোরআন এখন বাংলাদেশে। ভাবতেই শুকরিয়ায় বুক ভরে যায়, আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এছাড়াও বিশ্ব মুসলিম যেন এই কোরআনুল কারিমের সম্মান মর্যাদা রক্ষা এবং দিগ দিগন্তে কোরআনের বাণী ছড়িয়ে দিয়ে আল কুরআনুল কারিম-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের মহান লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারে। হস্তলিখিত কোরআন বাংলাদেশে লেখার কারণে সারা বিশ্বের মুসলিমদের নিকট বাংলাদেশর ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল এবং সুদৃঢ় হবে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা পবিত্র আল কোরআনুল কারিমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী:হস্তলিখিত আল কুরআনের বর্ণনা: দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট, প্রস্থ ১২ ফুট, এটি দুইশত পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই
কোরআনুল কারিমের ওজন হবে প্রায় ৮০০ কেজি বা ২০ মণ। হাতে তৈরি বাঁশের কলম, দোয়াত কালি দিয়ে লিখিত হয়েছে এই পবিত্র গন্থটি। প্রচ্ছদ ও ডিজাইন: স্বর্ণ, রুপা, ব্রঞ্চ, কাঠ, স্টিল, এসএস, ফোম ইত্যাদি বাবহার করা হবে। লেখার সময়কাল: এক বছরের অধিক, ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, অভিজ্ঞ হাফেজদের দ্বারা রিভিশন করা হয়েছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা উবায়দুল রহমান খান নদভী, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, বক্তব্য রাখেন ,উসতাযুল হাফেজ, হাফেজ আব্দুল হক , মাওলানা মোহাম্মদ কামাল হোসেন, শায়েখ আহাম্মদ বিন ইউসুফ আল আজহারী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।