নিজস্ব প্রতিনিধি :আজ ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বিকাল ৩:৩০ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সিরডাপ মিলনায়তন (এ টি এম শামসুল হক অডিটোরিয়াম), তোপখানা রোড ঢাকাতে, “সাইবার সহিংসতাসহ নারী ও কন্যার সকল প্রকার নির্যাতনকে না বলুন, নারী ও কন্যার অগ্রসরমানতা নিশ্চিত করুন” এই প্রতিপাদ্যর আলোকে নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা ঃ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এবং অর্থ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যপ্রযুক্তি উপপরিষদের সদস্য এবং নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যলয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ই্িঞ্জনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শেখ আশফাকুর রহমান ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি), সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার মোসা: ফারহানা ইয়াসমিন; বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. অমিত দাশ গুপ্ত; ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নুজহাত-ই-রহমান; দৈনিক সমকালের রিপোর্টার দ্রোহী তারা এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা প্রমূখ।

মূল বক্তব্য উপস্থাপনে নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যলয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ই্িঞ্জনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ বলেন, সাইবার সহিংসতার ব্যাপকতা তখন বেড়ে যায় যখন আক্রমণের শিকার নারী, কন্যা বা প্রান্তিকজন প্রযুক্তিবিমুখ হয়ে ওঠেন। সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি সঙ্ঘবদ্ধ সাইবার আক্রমণ বেড়েছে। এসব সাইবার আক্রমণ বেড়ে যায় বিশেষ করে নারী যদি ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে থাকেন। যেমন- ডাকসু নির্বাচনে, নারী প্রার্থীরা ব্যাপকভাবে সাইবার সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন। এখানে নারীর কর্ম যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা না হয়ে, এসেছে – লিঙ্গ ও যৌন পরিচয়ভিত্তিক গালি ও অপমান, শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও পোশাক নিয়ে অপমান ইত্যাদি। এসব পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর প্রতি অসম্মানজনক মানসিকতার প্রতিফলন। তিনি এসময় আরো বলেন প্রজন্মভিত্তিক প্রযুক্তি পরিচিতি ভিন্ন হয়, সেসব ক্ষেত্রে নারীকেই এই সহিংসতার মুখোমুখি হতে হয়। প্রযুক্তিক্ষেত্র থেকে নারীকে দূরে সরিয়ে দেয়ার অর্থ হল নারীকে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে দেয়া, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি এসময় সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশ সমূহ হলো: নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সাইবার জ্ঞান অর্জন করার ব্যবস্থা করতে হবে; সাইবার সহিংসতা বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হলে সহায়তা চাওয়ার দিকটি প্রযুক্তি শিক্ষায় যুক্ত করতে হবে; প্রযুক্তি শিক্ষার সাথে এর সাহায্যে জ্ঞান অর্জন ও অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয় দিকগুলো পরিষ্কার করতে হবে প্রযুক্তিবিমুখতা রোধে; আইনের প্রয়োগ, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিমার্জনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে; সাইবার আক্রান্তজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; আইনের প্রয়োগ, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিমার্জনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; সাইবার মবের ক্ষেত্রে সকল আক্রমণকারীর জবাবদিহিতা ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; সামাজিকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীকে উৎসাহ দেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে সকল সংগঠনকে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, আজ ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির চেয়েও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে সাইবার ক্রাইম। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সাইবার সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ করতে হবে; নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সমাজকে শিক্ষিত করতে হবে প্রযুক্তি বিষয়ে। বয়স্কদের জন্য সহজ অ্যাপ তৈরি করতে হবে। সারভাইভারদের জন্য কাউন্সেলিং, আইনী সহায়তা ও পরিসেবা বৃদ্ধি করতে হবে। ভুক্তভোগী নারীদের নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে। প্রান্তজনের প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শেখ আশফাকুর রহমান বলেন, সাইবার ক্রাইম এর কেসগুলির সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। অপরাধের ঘটনা অনেক আনরিপোর্টেড থাকছে। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। সাইবার সহিংসতার কারণ চিহ্নিত করে প্রতিরোধের উপায় খুঁেজ বের করা জরুরি। নারী ও কন্যার প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়ক ভ’মিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি), সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি বলেন, ইন্টারনেট ্আমাদের জন্য অভিশাপ না আর্শীবাদ এটি ইন্টারনেটের ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। ইন্টারনেট এর ব্যবহার যতদিন ইতিবাচক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি না পাবে, ততদিন এটা নিয়ে দ্বন্দ্ব হতে থাকবে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হয়রানির ঘটনা ঘটছে। বিটিআরসিকে আইন কানুন অনুসরণ করে চলতে হয়। বিটিআরসিকে আইন সোশাল মিডিয়ায় কনটেন্ট সাইট ভিজিটের অনুমতি দেয়না। যত দ্রুততার সাথে সাইবার সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তত দ্রুততার সাথে সমাধান করা দুরূহ বিষয়। তিনি এসময় মোবাইলের সিমের অপব্যবহার রোধে বিটিআরসির গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, তরুণদের ডিজিটাল লিটারেসি এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে; পরিবার ও সমাজকে সচেতন হতে হবে।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার মোসা: ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার আয়ত্ত করলে এর ইতিবাচক দিক থেকে আমরা উপকার পেতে পারি। শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষের নিকট প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষিত না থাকায় নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। সাইবার সহায়তা প্রদানকারী ও সাইবার সহায়তা গ্রহণকারী উভয়কে প্রযুক্তিগত বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, প্রশিক্ষিত হতে হবে; আইনসহায়তাকারীদের পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা পরিবর্তনে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নারীরা তার আপনজনের দ্বারা ব্লাকমেইলের শিকার হচ্ছে; অথচ আলামতের অভাবে তারা প্রমাণ করতে পারেনা। সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে শৈশব থেকেই ছেলেদের মেয়েদের সম্মান করা শেখাতে হবে; আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক জীবন এখন সাইবার জীবনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রণীত সাইবার নিরাপত্তা আইন এর ধাপে ধাপে সংস্কারের কথা তুলে ধরে বলেন আইনটি তে অপ্রতুলতা ও অপপয়োগের দিকটি উল্লেখ করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিতে, নৈতিক মানসম্মত জাতি তৈরিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন দরকার; শিক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের দিকটি যুক্ত করতে হবে।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নুজহাত-ই-রহমান বলেন; প্রযুক্তির ব্যবহার বোঝার পর তা ধারণ করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে কিশোর কিশোরীদের। সাইবার সহিংসতার শিকার কন্যার বাবা মাকে কন্যাকে মানসিক সহায়তা প্রদানে গুরুত্ব দিতে হবে। সন্তানদের সাথে সাথে নিজেদের আপডেট করতে হবে;
দৈনিক সমকালের রিপোর্টার দ্রোহী তারা বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় দ্রুত আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের উপর জোর দিতে হবে। সচেতনতামূলক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হবে; এ আই এর অপব্যবহার বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সাইবার সহিংসতায় ভুক্তভোগীরা কখনোই তাদের দু:সহ স্মৃতি ভুলতে পারেনা। সাইবার দুনিয়া নারীকে মানসিকভাবে নিপীড়নের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ তথ্য প্রবাহ আমাদের নানামুখী সুবিধা বৃদ্ধি করেছে, প্রবেশাধিকার দিয়েছে। তবে নারীর জন্য সুযোগ সীমিত করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতাকে বৃদ্ধি করেছে যা বিশ^জুড়ে সকলের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা নারীকে শারীরিক, মানসিক ভাবে বির্পযস্ত করে। ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। সাইবার অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম বলেন, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আমরা আছি। তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ থাকার পাশাপাশি এর অভিঘাত পড়ছে নারীর উপর। বাংলাদেশে সামাজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানে নারী এখনো পিছিয়ে আছে। গ্রামাঞ্চলে কিশোরী থেকে শুরু করে সকলের হাতেই মোবাইল রয়েছে, কিন্তু এর সচেতন ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না। ফলে নিজের অজান্তে সাইবার সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সাইবার সহিংসতার ঘটনায় খুব বেশি মামলা হয়না, কিশোরীরা ভিকটিম হলেও বলতে পারেনা।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ১৯৯৫ এর চতুর্থ বিশ^ নারী সম্মেলন নারী আন্দোলনের নূতন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বেইজিং সম্মেলনের ৩০ বছরে এসেও নারীর জীবনের সংকট কমেনি বরং নতুন নতুন সংকট তৈরি হচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তৃতির এই সময়ে সমাজ ও বিশ্বের নিকট নারী আন্দোলনের দাবি হচ্ছে নারীর হিস্যা দিতে হবে। প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহনে নানা বাধা আছে, নারীকে দক্ষ হতে হবে। সহিংসতা প্রতিরোধে প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মহিলা পরিষদ মনে করে অসাম্প্রদায়িক, যুক্তিবাদী মানবিক ও সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে এ লক্ষ্যে দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে; বাধা ভেঙেই আমাদের এগোতে হবে। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সমাজকে জেন্ডার সংবেদনশীল করে গড়ে তুলতে হবে, নারীকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
উক্ত মত বিনিময় সভায় ব্র্যাক, ঢাকা ওয়াইডব্লিউ সিএ, আর্টিকেল নাইনটিন, ব্লাষ্ট সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেত্রীবৃন্দ, সম্পাদকমন্ডলী, কর্মকতাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ প্রায় ১২০ জন উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা

