নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের শোকাবহ এই দিবসটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। আগে সাধারণ মানুষের মাঝে যেটুকু আগ্রহ ছিলো, এখন তা কমে যাচ্ছে। এই শোকাবহ দিনটি শুধু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রের অনেক দায়িত্ব ছিলো, শুধু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছেই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ হবার কথা ছিলো না। পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ কর্নেল কুদরত-ই- এলাহী আমার ভাগ্নে। সে শহীদ হওয়ার তিন থেকে চার মাসের মাথায় আমার বোন মারা যান। আমরা তার পরিবার মনে করি, পুত্র শোকেই তিনি মারা গেছেন। শহীদ কর্নেল কুদরত-ই- এলাহী’র বাবা জনাব হাবিবুর রহমান এ মাসের ১৮ তারিখে মারা গেছেন। তাই আস্তে আস্তে পরিবারের সংখ্যাও কমে আসছে। তাই স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের মধ্যেও এই শোক দিবসটি আস্তে আস্তে সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে। এতগুলো মেধাবী সেনাকর্মকর্তা হত্যার ঘটনা এত কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পিলখানা হত্যাকান্ডে শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা চিরজীবি করতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন দেশের মানুষ তাদের স্মরণে রাখবে এটাই আমরা চাই। আমরা আশা করছি এই দিবসটির গুরুত্ব বাড়াতে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।
১৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু বিচারকার্য শেষ হয়নি সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, জনগণের আগ্রহ কমে গেছে, জনগণ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোন জিনিস এগিয়ে নিতে সরকার একটা বড় বাহন। পিলখানা হত্যাকান্ডের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ করতে সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। বিচার কার্য চলছে, বিচার হলেই আমরা বুঝতে পারবো ন্যায় বিচার হয়েছে কিনা। বিচারাধীন এই বিষয়ে এখন কথা বলা ঠিক হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন,
সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, মোঃ আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা সাকিব রহমান, মেজর অবঃ সিকদার আনিসুর রহমান, রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া, মোঃ আব্দুর রহিম, জাহিদ বাবু, শিবলী আহমেদ।