নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং, রোজ সোমবার, সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে জুলাই সনদ এর আইনী ভিত্তি প্রদান ও জুলাই-বিপ্লবে খুনীদের বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন এর দাবীতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি জুলাই আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র জনতার রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে ছাত্র জনতা এবং জনগণের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল হত্যা সন্ত্রাস গুম খুন নৈরাজ্য ও প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। আজ কোন এক অদৃশ্য কারণে বিচার সংস্কার এবং জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা সহ জুলাই সনদ এর আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা ছাড়াই নির্বাচনী রোড ম্যাপ জাতিকে দারুন ভাবে মর্মাহত করেছে।
নেতৃবৃন্দ কঠোর ভাষায় আগামী দিনে জুলাই সনদ আইনিভিত্তিক পিয়ার পদ্ধতির আলোকে জাতীয় নির্বাচন এই সকল দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তাহীনতায় রেখে আগামীতে যারা ক্ষমতা গ্রহণ করতে চায় তারা বাংলাদেশের কেহ নয় তারা প্রতিবেশী দেশ ভারতের নিকৃত দাস বলে অভিহিত করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমীর ডঃ এডভোকেট হেলাল উদ্দিন বলেন, সংবিধানের কোন কোন ধারা অমান্য করছে সেটাও আমরা বলতে পারি তবে তিনি যদি সংবিধানের দোহাই দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো পাশ কাটিয়ে কোন একটি দল বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় তাহলে তার পরিণতি জুলাই-আগস্ট এর পূর্বের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। যারা নির্বাচন নির্বাচন করে জিকির করছেন তাদের দলীয় প্রধান তিনিও তো সামরিক শাসন থেকে সংবিধানে অনেক কিছু সংযোজন করেছেন। তারা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংবিধানের ভয় দেখাচ্ছেন, দোহাই দিচ্ছেন, এটি বৈধ হবে না, ওটি বৈধ হবে না, এসব শুভঙ্করের ফাঁকি। জনগণ এসব প্রত্যাখ্যান করবে।
সভাপতিরর বক্তব্যে নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী ও দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং বিপদ সীমা অতিক্রম করে চলেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের নিয়োগকৃত পুতুল সরকার ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বিপ্লবে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ঐ ভারতেই আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার সংঘটিত হচ্ছে। গণহত্যাকারীদের এই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কথা স্পষ্ট যারাই স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলবে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অতীতে যারা অপকর্মে সহায়তা করেছে তাদের প্রত্যেককেই স্বৈরাচারের ভাগ্যবরণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা ইসলামিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফরিদুল আকবর, জাগপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ৯০’র গণআন্দোলনের নেতা আসাদুর রহমান খান আসাদ, নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা কাজী জিয়াউদ্দিন, নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা লায়ন মোঃ নজরুল ইসলাম, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, জাতীয় ঐক্য জোটের প্রধান সমন্বয়কারী আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসাইন মোল্লা, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র-জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মো. বেলাল হোসেন, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ আবু হানিফ খান, বাংলাদেশ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবী ঐক্য জোট আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ ইউসুফ, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ গণআজাদী পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ আতাউল্লাহ খান, ইউনাইটেড পাবলিক কাউন্সিল চেয়ারম্যান এ্যাড. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।