রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। তবে বাড়তি আয়ের উৎস ছিল বিয়ে। আট স্বামীকে আর্থিক প্রতারণা করার পর নবম বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন সামিরা ফাতিমা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে।
আট স্বামীকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই নারীর একটি দল ছিল। তারা পাত্র দেখতেন। তাদের সঙ্গে ফেসবুক এবং ঘটকালির অ্যাপে ভাব জমাতেন সামিরা।
বিয়ে হলেই স্বামীর টাকাকড়ি হাতিয়ে পালাতেন। তারপর চলত নানা রকমভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়। তবে সামিরার নবম ‘বিবাহ অভিযান’ সফল হতে দেয়নি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, সামিরা উচ্চশিক্ষিত।
একটি স্কুলে শিক্ষকতাও করেন। গত ১৫ বছর ধরে তিনি একের পর এক বিয়ে করেছেন এবং প্রত্যেক স্বামীকে প্রতারণা করেছেন। প্রথমদিকে লোকলজ্জা এবং সামাজিক সম্মান নষ্টের ভয়ে ওই যুবকদের কেউ পুলিশে অভিযোগ করেননি। তবে সম্প্রতি দুজন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। একজনের অভিযোগ, নিজের ইচ্ছায় তাকে ছেড়ে গিয়েছেন সামিরা।
তারপর বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে ৫০ লাখ টাকা নিয়েছেন। অপরজনের অভিযোগ, তার কাছ থেকে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রী।
সামিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন। বিয়ে করেছেন রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাদেরও। তাদের প্রত্যেককে কোনো না কোনোভাবে ঠকিয়ে টাকা আদায় করেছেন।
জানা গেছে, প্রত্যেককে নিজের ভুয়া ‘জীবন কাহিনি’ শুনিয়ে তাদের মনে জায়গা করে নিতেন। বিয়ের পর নানা কারণ দেখিয়ে অশান্তি করে বাড়ি ছেড়ে মোটা অঙ্কের খোরপোশ আদায় করতেন সামিরা। অষ্টমবার বিয়ের আগে পাত্রকে বলেছিলেন তিনি ডিভোর্সি এবং এক সন্তানের মা। খুবই কষ্টের মধ্যে সন্তানকে মানুষ করছেন। তার আগে একজনকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি সন্তানসম্ভবা এবং বাবা ওই ব্যক্তি। অবশেষে গত ২৯ দুলাই নাগপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন সামিরা।
রুপসীবাংলা৭১/এআর