রুপসীবাংলা ৭১ঃ আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩টায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও বারোগ্রাম বালু নদী মোর্চা এর উদ্যোগে ঢাকার ফার্মগেটস্থ গ্রান্ড মহল রেস্টুরেন্টে ইউএসএইড- এর প্রোমোটিং এডেভোকেসি এন্ড রাইটস (পার) এর আওতাধীন ‘প্রোমোটিং ডেমোক্রেটিক এন্ড কালেকটিভ এডভোকেসি ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন ইন ঢাকা সিটি’ প্রকল্পের পরিবেশ বিষয়ক কমিউনিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার শুরুতে বারোগ্রাম বালু নদী মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি মো: সুরুজ মিয়ার মৃত্যুতে প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে শোক জ্ঞাপন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আকবর হোসেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, বারোগ্রাম উন্নয়ন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: সারোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোঃ সুমন আহমেদ, সদস্য সচিব মোঃ আমজাদ হোসেন সহ বারোগ্রাম বালু নদী মোর্চার সদস্যবৃন্দ।
সভার উদ্বোধক রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, পরিবেশ আন্দোলনের সফলতায় ঐক্যবদ্ধতার কোন বিকল্প নেই। যে কারণে নদী দখল-দূষণ প্রতিরোধের প্রশ্নে আমাদের এক হতে হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা এ ধরণের উদ্যোগের সময় সাধারণত সরকারকে প্রতিপক্ষ মনে করি। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই বরং সরকারের সহযোগী। বিভিন্ন নাগরিক কমিটি ও সংগঠন একত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে পরিবেশ রক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে নয়তো আমাদের উদ্যোগ প্রত্যাশিত ভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আকবর হোসেন বলেন, ছোট সময় থেকে আমরা আমাদের নদীর পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারতাম এবং সে সময় এ নদীতে প্রচুর মাছ পেতাম। তবে ক্রমশ তা আমাদের সামনেই চরমভাবে দূষিত হয়ে যেতে থাকে।
আমরা পরিবেশ আন্দোলনের করার সময় এটা ভাবছি না যে আমরা আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলতে পারবো বরং আমরা নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই কাজ করে যাচ্ছি। একইসাথে, আমরা নিজেদের ভেদাভেদ ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতা ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে যেন আমরা সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হই।
সঞ্চালক ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ তাপস বলেন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইউএসএইড ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প বাস্তবায়নের বেশ কিছু উদ্যোগের মধ্যে এই উদ্যোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মিটিংয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে নদী তীরবর্তী জনগণের পক্ষ থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করা যেগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। এই সভায় দলীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সেই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরী করা হবে। আশা করা যাচ্ছে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিগণ ও সরকার আন্তরিক হবেন।
সভায় উপস্থিত বালু নদীর তীরে বসবাসকারী লোকজন চারটি উপদলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে পরিবেশগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন ও পোস্টার পেপারে তা উপস্থাপন করেন। যেখানে নদীর বর্তমান পরিস্থিতি ও তাদের জীবন জীবিকার বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়গুলো উঠে আসে।