রুপসীবাংলা ৭১ঃ আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সোমবার বিকেল ৩টায় সুন্দরবনের পূর্ব ঢাংমারিতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এর উদ্যোগে সুন্দরবন দিবস দিবস – ২০২৪ উপলক্ষ্যে বনজীবি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও পরিবেশকর্মী মোঃ নূর আলম শেখ, প্রধান বক্তা ছিলেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রিয় সদস্য সচিব ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাস্ট্রের টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বীর প্রতীক, উপকূল ও সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী সাংবাদিক নেতা নিখিল ভদ্র, ঢাংমারি ফরেস্ট অফিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা মহসিন আলী, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর বাগেরহাটের নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাংবাদিক নেত্রী শাকিলা পারভীন রুমা, পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিক নেতা মেজবাহ উদ্দিন মান্নু, শরণখোলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন লিটন, পরিবেশকর্মী সাংবাদিক কৌশিক দে বাপী, সাংবাদিক নেতা হেদায়েত হোসেন, বানীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের নেতা সত্যজিৎ গাইন, কৃষক নেতা হিরন্ময় রায়, পরিবেশকর্মী সাংবাদিক আহসান টিটু, এম এ সবুর রানা, শফিকুল ইসলাম খোকন, আরিফুর রহমান, নদীকর্মী হাছিব সরদার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রিয় সদস্য সচিব ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের যে পদক্ষেপসমূহের ব্যাপারে ইউনেসকো প্রশংসা জানিয়েছে, আমরা তার স্বচ্ছ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এখানকার বনজীবি জনগোষ্ঠি আজ নানাভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার। বনের উপর যাদের জীবন ও জীবিকা, বন ব্যবস্থাপনায় তাদের অর্থবহ অংশগ্রহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন বাংলাদেশের ফুঁসফুস সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে। বনজীবিরা সুন্দরবনের সবথেকে আপনজন। কাজেই সুন্দরবন রক্ষায় বনজীবিদের যেকোন ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপসমুহকে ইউনেসকো প্রশংসা জানিয়েছে। ইউনেস্কো’র এই প্রশংসার স্বচ্ছ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। বনজীবি জনগোষ্ঠি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বনের উপর যাদের জীবন-জীবিকা বন ব্যবস্থাপনায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আমরা গর্বিত অভিভাক। সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ব্যর্থ হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।