রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : জুলাই ও আগস্ট মাসে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি মৌসুম। প্রতিবছর এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ভিড় জমায় উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে। একইসঙ্গে, ভর্তির পাশাপাশি চলে নতুন শহরে থাকার জন্য বাসা খোঁজা।
নওগাঁ থেকে ঢাকায় উচ্চশিক্ষার জন্য আসা রাকিব আহমদের গল্পটাও এমন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে রাজধানীতে আসেন রাকিব ও তার চার বন্ধু। ইচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার। কিন্তু জুতসই বাসা খুঁজে পাওয়া তাদের জন্য মোটেই সহজ ছিল না। জনবহুল ঢাকা শহরে ঘুরে ঘুরে অ্যাপার্টমেন্ট দেখাও ক্লান্তিকর হয়ে উঠছিল।
তাছাড়া, পাঁচজনের সময় মেলানোও ছিল এক বিশাল ঝামেলা।
কিন্তু বাসাতো খুঁজে পেতে হবে। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে তারা ইমোর এইচডি কল ফিচার ব্যবহার করা শুরু করে। বন্ধুরা যখন বাসা দেখতে যেত, তারা তা লাইভ দেখাত বাকিদের।
এই সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতিতে সবারই বাসা দেখা হতো, সেটা হোক ঘরের আকার ও রুমে কতটুকু আলো ঢোকে তা বোঝা, কিংবা রান্নাঘর বা বাথরুমের অবস্থা। এতে করে, একদিকে যেমন তাদের সময় সাশ্রয় হয়েছে ও পরিশ্রম কমেছে; অন্যদিকে, পছন্দের বাসা খুঁজে পেতে কম সময়েই তারা অনেক বাসা ঘুরে দেখতে পেরেছে।
রাকিব বলেন, ‘আমরা আগে ইমো-তে এইচডি ভিডিও কল দিয়ে বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতাম। তাই, যখন বাসা দেখানোর বিষয় আসে, তখন স্বাভাবিকভাবেই ইমো ব্যবহার করি। ভিডিও কল এতটাই ঝকঝকে ছিল, আমরা বাসার সব খুঁটিনাটি দেখতে পেরেছি।
একসঙ্গে বাসা দেখতে না যেতে পারলেও, আমরা সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। আর এক্ষেত্রে আমাদের কোনো ঝামেলাও হয়নি।’
হাই রেজ্যুলেশনের ভিডিও আর নয়েজ ছাড়া স্পষ্ট ভিডিও কলের মাধ্যমে রাকিব ও তার বন্ধুরা প্রতিটি বাসার সুবিধা-অসুবিধা চোখের সামনে দেখতে পেয়েছেন, যেন নিজেরাই সেখানে গিয়ে দেখছেন। সাধারণ ভিডিও কল যেখানে ঝাপসা বা অস্পষ্ট হতে পারে, সেখানে ইমোর এইচডি কলে দেয়ালের টেক্সচার থেকে জানালা—সবই স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। এমন ঝকঝকে ভিডিওর কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা যেমন অনেকখানি কমে গেছে, তেমনি তারা সহজেই খুঁজে পেয়েছেন তাদের কাঙ্ক্ষিত বাসা। শুধু রাকিব আর বন্ধুরাই নয়, প্রতিবছর দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকায় পাড়ি জমান উচ্চশিক্ষার জন্য। নতুন শহরে নিজেদের জন্য একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক বাসা খুঁজে নেওয়া প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে, কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠছে আধুনিক প্রযুক্তি। তাদের কাছে ইমো শুধুমাত্র মেসেজিং অ্যাপই নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। ইমোর মাধ্যমে তাদের লাইফস্টাইল যেমন স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হয়েছে, একইসঙ্গে পরিবার ও পছন্দের মানুষদের সঙ্গে বন্ধন হয়েছে আরও অটুট। অ্যাপের এইচডি ভিডিও কলের মাধ্যমে সরাসরি উপস্থিত না থাকতে পারলেও, ইমো ব্যবহারকারীরা থাকছেন তাদের স্বজনদের কাছাকাছি, মুহূর্তগুলোকে করে তুলছেন স্মরণীয়।
রুপসীবাংলা৭১/এআর