রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : ঝিনাইদহে জিন তাড়ানোর কথা বলে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এহসান কবিরাজ নামের এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এহসান কোটচাঁদপুর উপজেলার পারলাট গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি স্থানীয় নূরানী মাদরসার শিক্ষক।
ভুক্তভোগী রওশন আলী বলেন, আমার মেয়ে প্রিয়াকে পার্শ্ববর্তী মুরুটিয়া গ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম।
বিয়ের কিছুদিন পর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন দোষারোপ করে ঘাড়ে জিনের আছর আছে। ওই সময় মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি জিন তাড়াতে পারলাট গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক এহসান কবিরাজের কাছে যান। তার সঙ্গে চুক্তি হয় জিন তাড়ানোর।
এজন্য যতবার নিয়ে যাওয়া হবে কবিরাজকে ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। আমি তখন থেকে মেয়ের সংসার টেকানোর জন্য ১০ বার ওই কবিরাজ বাড়িতে যাই। প্রতিবার ১০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা কবিরাজকে দেই। এরপরেও আমার মেয়ের সংসার টেকেনি।৬ মাস আগে আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে তার স্বামী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদরাসা শিক্ষক কবিরাজ এহসানের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর