স্টাফ রিপোর্টার : বাল্যবিবাহ মরণফাঁদ, পা দিলে জীবনের সর্বনাশ এসব ধরনের নানা স্লোগান ব্যবহার করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন রাইট টক বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বাল্যবিবাহ বন্ধে জনসচেতনতা কর্মসূচি পালন করেছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর, ঢাকা মেডিকেল এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটি। এই কর্মসূচি এসময় মানুষের ব্যাপক সারাও মিলে এবং সবাই সাধুবাদ জানান সংগঠনটিকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাইট টক বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আল আমিন এম তাওহীদ, সহসভাপতি তানবীরুল রিপন, নুরনাহার হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী সাধক, এহসানুল হক রানা, রোহিত রওশন। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাফি, আরিফুল হক, জহিরুল ইসলাম সানি, খাইরুল ইসলাম বাবু, ছালদার রহমান, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী, কোষাধ্যক্ষ রাকিব হোসেন, প্রচার সম্পাদক রবিউল হাসান তালহা, জান্নাতুন মনি, জিহাদ হোসেন বাবু, গোলাম রায়হান, ইসরাফিল, জিহাদ খান জয়, বেলায়েত শাস্ত্রী, নিরব, রাফসান, ক্রীড়া সম্পাদক আরফাত সিদ্দিকী, নুরুল ইসলাম বাবু, তাসলিমা আক্তারসহ সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আল আমিন এম তাওহীদ বলেন, দেশে এখন ১৮কোটি জনসংখ্যা এটা বাড়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে বাল্যবিবাহ। এছাড়াও মানুষের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় দিন দিন জনসংখ্যা বেড়েই চলছে।
বাল্যবিবাহ যেমন বাড়ছে তেমনি দেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। কারণ জনসংখ্যা বাড়ছে। এটির কারণে খাদ্য ও বাসস্থান সংকটও হচ্ছে। তাই সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই রাইট টক বাংলাদেশ সবসময় বাল্যবিবাহ বন্ধে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তিনি বলেন, রাইট টক বাংলাদেশ সবসময় সকল শ্রেণির পেশার মানুষের মাঝে থাকবে। তাদের সুখ দুঃখ নিয়েই এই সংগঠনের পথচলা। সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাফি বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সামাজিকভাবে সচেতন হওয়া খুবই জরুরী। বাংলাদেশের যেসব সামাজিক সংগঠনগুলো রয়েছে সব সংগঠনের উচিত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করা। আমরা সবাই সচেতন হলেই সম্ভব আগামী প্রজন্মের কাছে দিতে পারব একটি উন্নত বাংলাদেশ। এই প্রজন্মের সফলতা আগামী প্রজন্মের উন্নত বাংলাদেশ। তাই আসুন আমরা সবাই বাল্যবিবাহ রোধে সচেতন হই।
মানববন্ধনে সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সানি বলেন, সমাজে মা-বাবা যত দিন বুঝবেন না যে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তার বিরাট ক্ষতিসাধন করা হয়, তত দিন বাল্যবিবাহ বন্ধ করা কঠিন। তাই পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন আইনের বিশেষ বিধান বাতিল করা। আর এসব সামাজিক আন্দোলনে সেগুলো অর্জন সম্ভব হবে—সেটাই প্রত্যাশা।এরপর সংগঠনটির সকল সদস্যরা রিকশা চালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বাল্যবিবাহ কি এবং এটা বন্ধ কেন করতে হবে সেসব বিষয়ে সচেতনতামুলক কার্যক্রম পালন করেন।