রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : চীন সফরের মধ্য দিয়ে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত ১০টায় চীন সফর শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সফরটি ছিল রাজনৈতিক। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও সফল বৈঠক হয়েছে। পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক আরও নিবিড় ও শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বর্তমানে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনে চীনের নেতারা খুশি হয়েছেন। আমরাও তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তারা তা গ্রহণ করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে আগামী দু’বছরের মধ্যে একটি রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষ একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অভিভূত হয়েছি যে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীন বিগত কয়েক বছরের মধ্যে নৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তির সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত ২২ জুন রাতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল চীন সফরে যান। সফরের শুরুতে তারা বেইজিংয়ের গ্রেট হলে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন।
বিএনপি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং, কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই সফরে মহাসচিবের সঙ্গে আরও ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহ উল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
প্রতিনিধি দলটি সফরকালে ‘মিউজিয়াম অব কমিউনিস্ট’, গ্রেট ওয়াল, বেইজিংয়ে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন, শানসি প্রদেশের জিয়ান স্মার্ট সিটি, জিয়ান হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট জোন, জিয়াওতং বিশ্ববিদ্যালয় এবং জিয়ানের একটি গ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
রুপসীবাংলা৭১/এআর
