রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : চোরা শিকারিদের কারণে কমছে ইলিশ উৎপাদন। বরিশালের মেঘনা নদীর হাইমচর, ভাসানচর, মালদ্বীপের চর ও চর শেফালী এলাকায় ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ে ও জাটকা বেড়ে ওঠে। এ কারণে ওই এলাকায় প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ও পরে জাটকার আধিক্য থাকে। তাই ওইসব এলাকা থেকে মাছ শিকারের জন্য এক থেকে দেড় শ ব্যবসায়ী সক্রিয় হন। তারা জেলেদের দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগ করে ট্রলার ও জাল দিয়ে মা ইলিশ ও জাটকা শিকার করেন। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করেন। মৎস্য বিভাগ এ তথ্য জানায়।
মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, বাংলাদেশের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নদনদীর পানি মিষ্টি। প্রচুর নদী হওয়ায় বিভিন্ন মোহনায় স্রোত বেশি থাকে। সেখানে খাবারও বেশি থাকে। তাই মেঘনা নদীর কয়েকটি পয়েন্টে ইলিশ মাছ প্রজননের জন্য আসে। কিন্তু এসব মাছ প্রজনন করতে এসে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে ধরা পড়ে। এসব অবৈধ মাছ ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ করতে পারলে এ অঞ্চলে ইলিশ মাছের উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়ত। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, সারা বছর ইলিশ মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ইলিশ বর্ষাকালের মাছ। তাই সারা বছর সহজলভ্য হয় না। মুক্ত জলাশয়ের ইলিশ মাছের উৎপাদন ইচ্ছামতো বাড়ানো যাবে না। কিন্তু যত্ন করলে রক্ষা পাবে। এ জন্য জাটকা ও মা ইলিশ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করা জরুরি।
রুপসীবাংলা৭১/এআর