প্রেসনোটঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের একটি দল মাদকবিরোধী অভিযানে অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ৯০০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে। এই অভিযানে গুলিবিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ডিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনে অটল থেকেছেন এবং উক্ত বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছেন।গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। আবদুর রহমান (৪০) ২। আবদুল আজিজ (৩৮) ও ৩। হৃদয় সরকার আশিক (৩৫)।
ডিবি-লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিবি লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম বুধবার (১৮ জুন ২০২৫ খ্রি.) রাত ০৯:১৫ ঘটিকায় রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুল এলাকার ডিআইটি এক্সটেনশন রোডে অভিযান চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবদুর রহমানকে আটক করে।
ধৃত আবদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় অজ্ঞাতনামা একজন, আব্দুল আজিজ ও হৃদয় সরকার আশিক একটি প্রাইভেটকারযোগে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য উক্ত এলাকায় আসবে। গ্রেফতারকৃত আবদুর রহমানসহ উক্ত এলাকায় ডিবি টিমের সদস্যরা অবস্থান করাকালে ১৯ জুন ২০২৫ খ্রি. রাত আনুমানিক ১২.২০ ঘটিকার সময় একটি সিলভার রঙের প্রাইভেট কার (যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪-৭৬৮০) পল্টনের দিক হতে ঘটনাস্থলে আসলে গাড়ির মধ্যে থাকা আব্দুল আজিজ একটি কালো রঙের ব্যাগ (ব্যাক প্যাক) বের করে একজনের নিকট হস্তান্তর করে। সে উক্ত ব্যাগটি গ্রহণ করে প্রাইভেট কারের পেছনের ডালায় রেখে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি চালানোর প্রাক্কালে ডিবির টিমের সদস্যরা গাড়িটি ঘেরাও করে। গাড়িটি তল্লাশি কালে অজ্ঞাতনামা সেই ব্যক্তিকে আটক করার মুহূর্তে সে পালানোর পথ সুগম করার জন্য হত্যার উদ্দেশে তার নিকট থাকা অবৈধ পিস্তল বের করে এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আতিক হাসান ও কনস্টবল মোঃ সুজন আলীকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তারা গুলিবিদ্ধ হন।
সে গুলি করতে করতে অজ্ঞাতনামা দুইজনসহ পল্টনের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার ছোড়া গুলি এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আতিক হাসান এর পেটের ডানদিকে ও কনস্টবল মোঃ সুজন বাম পায়ের হাঁটুর নিচে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তা সত্ত্বেও আভিযানিক টিম অনন্য সাহসিকতার সাথে ঘটনাস্থল থেকে আবদুল আজিজ ও হৃদয় সরকার আশিককে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও আট হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, পিস্তলের গুলির তিনটি খোসা ও এক রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয় । উদ্ধারকৃত মোট ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৭ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় ডিএমপির মতিঝিল থানায় দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের ও পলাতক আসামির নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায় যে, আব্দুর রহমান ও আব্দুল আজিজ বিক্রেতা হিসেবে ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার হতে আনে এবং পলাতক অজ্ঞাতনামা প্রধান আসামি ও গ্রেফতারকৃত হৃদয় সরকার আশিক মাদক ক্রেতা হিসেবে উক্ত ইয়াবা গ্রহণ করার জন্য ঘটনাস্থলে আসে।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।