নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারন ধূমপান ও পান-জর্দার ব্যবহার। ক্যান্সার রোগী বাড়ার পিছনে রয়েছে সিগারেট তথা তামাক কোম্পানীর হাত। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার দেশে আইন ও সহায়ক নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কোম্পানীগুলো প্রতিনিয়ত আইন লংঘন করে তামাক ব্যবহারে জনগনকে উৎসাহ প্রদান করে চলেছে।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর নবনিযুক্ত সমন্বয়কারী (যুগ্ম সচিব) মো. আখতারউজ-জামান এর সাথে সরাসরি স্বাক্ষাৎ করে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ থেকে নীতি সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনের অনুরোধ জানান। এছাড়াও প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে আইন লংঘনকারী তামাক কোম্পানীগুলোকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি তামাক চাষ সংক্রান্ত নীতি চুড়ান্ত করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সমন্বয়কারী প্রতিনিধিদলকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে বলে আশ্বাস ব্যক্ত করেন। এ সময় জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর প্রোগ্রাম অফিসার ডাঃ মোঃ ফরহাদুর রেজাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী ও প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হেলাল আহমেদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান, এইড ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবু নাসের অনিক, অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর প্রজেক্ট ম্যানেজার হামিদূল ইসলাম হিল্লোল, নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ, টিসিআরসির প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির পার্টনারশীপ এন্ড নেটওয়াকিং ম্যানেজার আলী আজমান, ডাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব এবং নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা আজিম খান।