নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভাষার মাসের প্রথম দিনে শুরু হয়েছে অমর একুশের বইমেলা। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের এ মেলায় থাকছে অগণিত কবি, লেখক, সাহিত্যিকের আনাগোনা এবং বাংলা বইয়ের বিপুল সম্ভার। পাঠক, বইপ্রেমী, লেখক, সাহিত্যিক, প্রকাশকদের পদচারণায় মাসব্যাপী মুখরিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় সুবিন্যস্ত করে সাজানো হয়েছে প্রায় ১ হাজার ইউনিটের স্টল, প্যাভিলিয়নসহ অন্যান্য পরিষেবার অস্থায়ী স্থাপনা।
ডিএমপি কমিশনার এর ভাষ্যমতে, প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ লোকের সমাগম থাকে বইমেলায়। নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এবারও বইমেলা থাকবে পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত। প্রতি বছরের মতো এবারও বইমেলা প্রাঙ্গণে ধূমপান ও পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় মেলা কতৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলে সাধূবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মনে করে, একুশের বইমেলা বাঙালীর প্রাণের উৎসব। শুধুমাত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নয় বইমেলার নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে এ স্থানটি শতভাগ ধূমপানমুক্ত হওয়া জরুরি। ২০২২ সালে প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশে আগুনের যে সকল ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে উৎপত্তি প্রায় ৪ হাজার।তামাকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় সরকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনে জনসমাগমস্থল হিসাবে যে কোন মেলা প্রাঙ্গনও ধূমপানমুক্ত স্থানের অর্ন্তগত। সার্বিক দিক বিবেচনায় জনবহুল এই স্থানটি ধূমপানমুক্ত ঘোষণা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলা একাডেমির এই বিচক্ষন সিদ্ধান্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সর্বপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।উল্লেখ্য বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাকা বাংলা একাডেমি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সমন্বিত উদ্যোগে মেলা প্রাঙ্গনে লাইটার এবং সিগারেট নিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বছরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।