রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা পাড়ের চাষীরা বাদাম নিয়ে বিপাকে পড়েছে। তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও অতি বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের বাদাম ক্ষেত। এসব বাদাম জমি থেকে তুলে আনলেও রোদ না থাকায় শুকানো যাচ্ছে না। এতে খরচের টাকা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হবে বলে জানান কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ৩৬৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হেক্টর জমির বাদাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার চর মহিপুর, পূর্ব ইচলি, চর ইচলি, চর ইশোরকুল শংকরদহ, ছালাপাক, আলফাজটারী, শেখপাড়া, চিলাখালসহ কয়েকটি চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, রোদ না থাকার কারণে পানিতে তলিয়ে থাকা বাদামগুলো গাছ থেকে ছাড়িয়ে রাস্তার ধারে পলিথিনে বিছিয়ে রেখেছে। আবার অনেকে বাদাম গাছ থেকে ছাড়াতে না পেরে স্তূপ করে রেখেছে। উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের পূর্ব ইচলি চরে পানি থেকে বাদাম তুলছেন চাষী মজিবর রহমান (৫৫)। তিনি বলেন, এবছর প্রায় ১০০ শতক জমিত বাদাম চাষ করছি। সউগ পানিত তলে গেইছে। এভাবে তো রাখা যায়না এ পানি কবে কমবে। তাই তুলে নিচ্ছি।
চর ইশোরকুল এলাকার বাদাম চাষী আফতাবুল (৪৫) বলেন, ৫০ শতক মাটির (জমি) বাদাম সউগ পানিত ডুবি গেসলো। উপায় না পেয়ে পানি থেকে বাদাম তুলে নিছি। রইদ (রোদ) ও নাই শুকবার (শুকানো) পাইচোল না। গাছোত ভাল করি এবার বাদাম ধরে নাই। তার উপর যেএকনায় (যেটুকু) ধরছে তায়ো যদি শুকবারো (শুকানো) না পাই তাইলে (তাহলে) একবারে লস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, আগাম অতি বৃষ্টি ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার প্রায় ৩০ হেক্টর জমির বাদাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। যেহেতু আবহাওয়া প্রতিক‚লে তাই নিমজ্জিত জমি হতে পানি অপসারণসহ রোগবালাই দমনের জন্য কৃষি বিভাগ হতে কারিগরি পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর