রুপসীবাংলা৭১ অর্থনীতি ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি মে মাসও রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারায় নতুন রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে। এ মাসের প্রথম ১৭ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলারের। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) প্রায় ১৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে আসছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বা ১১৫৫ কোটি টাকা।
চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে, মে মাস শেষে প্রবাসী আয় ৩ বিলিয়ন ডলারের (৩০০ কোটি ডলার) মাইলফলক ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা হবে দেশের ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে’র প্রথম ১৭ দিনে ১৬১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
অন্যদিকে, কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টি। এরমধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২৭৫ কোটি ডলারের।
রুপসীবাংলা৭১/এআর