শাহজালাল (রাসেল)ঃগতকাল ৩১ আগষ্ট, ২০২৪ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মোঃ মোশাররফ হোসেন, চরকালীবাড়ী, চায়নামোড়, সদর ময়মনসিংহ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মোশার- রফ হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তরপূর্বাঞ্চলের জেলা সমূহের সাথে রাজধানী ঢাকার নিরাপদ নিরবিচ্ছিন্ন, উন্নত ও ব্যয় সাশ্রয়ী যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বিগত সরকার ময়মনসিংহে কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ লক্ষে ২০১৮ইং সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির বৃত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে একটি জরিপ সংস্থাকে প্রকল্পের সম্ভবতা যাচাই করে জরিপ কার্য সম্পাদন করে নকশা প্রণয়নের দায়িত্ব প্রদান করে সে মোতাবেক সংস্থাটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জরিপ কার্য শেষ করে একনেকের সভায় উপস্থাপন করে ২০২১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর একনেক ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা ব্যায় এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়, প্রকল্পের মোট ব্যায়ের ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল হইতে বাকি ১৯০৯ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা ঋণ সহায়তা হিসেবে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইবিবি) হইতে নেওয়া হবে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর পরবর্তীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পপরিচালক, ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয় তিনারা প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় একটি এনিমেশন ভিডিও প্রকাশ করে তাতে দেখা যায় যে একনেক সভায় অনুমোদিত নকশাটি পরিবর্তন করে নদীর উত্তরপূর্বাংশের সংযোগ সড়কে নকশাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে ঘুরিয়ে পেচিয়ে নেওয়া হয়
তাতে সংযোগ সড়কের দূরত্ব কমপক্ষে ১ কিলোমিটার বেড়ে যায় যা উদ্দেশ্য প্রণীত এতে করে এই প্রকল্পের মূল যে লক্ষ নিরবিচ্ছিন্ন, নিরাপদ, উন্নত ও ব্যায় সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে ইতিপূর্বে এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মহল জেলাপ্রশাসক, স্থানীয় সড়ক ও জনপথঅফিস, প্রকল্প পরিচালক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এছাড়াও এ প্রকল্পের দূর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম একাধিক নিউজ করার পরও অজ্ঞাত কারণে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বরং হেনস্থার স্বীকার হইতে হয়েছে বর্তমানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত সরকার পতনের পর দেশ এক সংকটকালীন সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কতিপয় অসাধু আমলা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তির সমন্বয়ে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট গ্রুপ তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম এখনো চালু রেখেছে যা কোনভাবেই কাম্য নয়। উপরোক্ত বিষয়গুলো সর্বাত্তক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই প্রকল্পের সকল দূর্নীতি ও অনিয়ম বের হয়ে আসবে এবং সিন্ডিকেট চক্রের হাত থেকে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা বেচে যাবে। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্তের স্বার্থে চলমান ভূমি অধিগ্রহণ সহ যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় আদেশদানে সবিনয় অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই বিষয়ে আমি গত ০৩-০৬-২০২৪ইং আবেদন করেছিলাম যার ডাইরী নং- ৬০০৩ এবং বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম যে বিষয়টি উক্ত কার্যালয়ের পরিচালক জনাব দেবাশীষ কুমার রায়ের দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।