রিপোর্টারঃ- শাহজালাল (রাসেল) ২৮ আগস্ট ২০২৪, বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি তৃতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পেশ করেন মোঃ আব্দুল হামিদ।
২০১৪ সালে সোনালী ব্যাংক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমরা প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং পরবর্তীতে ফলাফলে প্যানেলভুক্ত হই, এবং এর পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংকে আমরা নিয়োগের ব্যাপারে যোগাযোগ করি এবং সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেন যে আপনারা যারা ভাইভা দিয়েছেন তাদের সবাইকেই প্যানেলের ম্যাধ্যমে ধাপে ধাপে নিয়োগ প্রদান করা হবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক BSC (ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি) গঠন করে এবং সকল সরকারি ব্যাংক এর নিয়োগ এর প্রজ্ঞাপন, পরীক্ষা, এবং নিয়োগ একসাথে দেওয়া উদ্যোগ গ্রহণ করে যা এখনো চলমান, এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আবারও সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি তখনো সোনালী ব্যাংক আমাদের এই বলে আশ্বস্ত করেন যে আমাদের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে এই নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন হবে, এরপর হঠাৎ করে দৃশ্যপট বদলে যায় এবং সোনালী ব্যাংকের নিয়োগ বাণিজ্য কারী আওয়ামী স্বৈরশাসকের দোসর তৎকালীন এমডি এবং সোনালী ব্যাংকে আইন উপদেষ্টা বিচার বিভাগের হায়েনা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর সাথে দুরভিসন্ধি করে এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের কুচক্রিতার কারণে আমাদেরকে জামায়াত, বিএনপি ট্যাগ লাগিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করে। পরবর্তীতে আমরা দীর্ঘসময় আন্দোলন ও আইনি লড়াই করি যা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে। এমনকি আপিল বিভাগ “নিয়োগে বাঁধা নেই” মর্মে একটি রায় প্রদান করেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পরবর্তীতে রাজনৈতিক মারপ্যাচে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর স্বেচ্চাচারিতা, আইনের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে আমাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। উক্ত সময়ে চাকুরীপ্রার্থীদের অনেকেরই সরকারি চাকুরীর বয়সসীমা পার হয়ে যায় এবং এই কথাটি আমরা মহামান্য আদালতকে অবহিত করেছিলাম, কিন্তু ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর অযাচিত হস্তক্ষেপ এর কারণে আমাদের নূন্যতম মানবিক দিকটুকুও উপেক্ষীত হয়। উল্লেখ্য, অতি নির্মম সত্য এই যে, সোনালী ব্যাংকের ২০১৪-১৫ সালের নিয়োগ ব্যতিরেকে অতীত এবং পরবর্তী সকল নিয়োগে ভাইভায় অংশগ্রহনকারী সকলকে প্যানেলভুক্ত করে নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু অমানবিক নির্মমতায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার হই যাতে আমাদের দীর্ঘ সময়, শ্রম, অর্থ সব নষ্ট হয়েছে বিধায় আমরা আজো ঘুরে দাড়াতে পারিনি, এখনো আমরা প্রায় সকলেই মানবেতর জীবন যাপন করছি।
গত ৫ই আগস্ট, ২০২৪ইং তারিখে ছাত্রজনতা সহ বৈষম্যবিরোধী সম্মিলিত আন্দোলনের প্রতিফলনে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি, যেখানে শিক্ষক, ছাত্র ও সুশীল সমাজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে আপনাকে বেছে নিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বর্তমান বিশ্বে আপনার মত নোবেলজয়ী, প্রজ্ঞাময়, ব্যক্তিত্ববান ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারার একজনকে পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত। বাংলাদেশে সর্বস্তরের মানুষের স্বাবলম্বী জীবনধারা ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার এই সুযোগে, আমরাও পুনরায় আপনার মাধ্যমে মুক্তির আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।
আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনার বিচক্ষণতা, কর্মদক্ষতা ও ন্যায়পরায়নতা মজলুমদের আলোর পথ দেখাবে। তাই, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আকুল প্রার্থনা, আপনার সদয় বিবেচনায় এবং যথাযথ পদক্ষেপে আমাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে ও সু-বিচার পেতে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।