নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আদর্শ ছিল অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য। দুই জনেরই স্বপ্ন ছিল এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা ছিল শোষণহীন সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। কবি নজরুলও চেয়েছেন শোষণহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে। দুই জনই ছিলেন বিদ্রোহী। একজন সাহিত্যে, অন্যজন রাজনীতিতে। একজন ছিলেন সাহিত্যের কবি এবং অন্যজন ছিলেন রাজনৈতিক কবি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় কবি কাজী নরজরুল ইসলামকে ঢাকায় আনা হয় এবং তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়। মূলত কবি কাজী নজরুলের চিন্তা-চেতনা ও ভাবনাগুলোকে বঙ্গবন্ধু ধারণ করতে পেরেছিলেন এবং তা তিনি স্বপ্নে পরিণত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনী থেকে শক্তি ও প্রেরণা পেয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও কবি কাজী নজরুলের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে।
২৪ জুন (সোমবার) বিকেলে উত্তরা মডেল টাউন ৬নং সেক্টরস্থ নুর ক্যাফে এন্ড চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বঙ্গবন্ধু কালচারাল ফাউন্ডেশন ও বিদ্রোহী The Nazmul Centre এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতির পিতা ও জাতীয় কবি বিদ্রোহী হতে বিদ্রোহ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও নজরুলীর আড্ডা আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এমিরেটাস অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বিদ্রোহী The Nazmul Centre এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান। বঙ্গবন্ধু কালচারাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম এর সভাপতিত্বে ও সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক এম এ আলম সবুজ এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন, নজরুল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাসিক ব্যাংক সমাচার এর প্রধান সম্পাদক মোঃ ফজলুল হক। নজরুলীয় আড্ডায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শ্রমজীবী- কর্মজীবী- পেশাজীবি-ঐক্যজোট এর আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ ইউসুফ, বরেণ্য নজরুল গবেষক মোঃ মাহবুবুর রহমান, হযরত মাওলানা মাসউদুর রহমান বিক্রমপুরী, জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন ইসলাম শেলী, কবি নেক পারভীন লায়লা, প্রফেসর ডক্টর মোঃ জাকির হোসাইন তালুকদার, প্রফেসর ডক্টর হানিফ খান, ইসমাইল সিকদার, মোঃ শওকত আকবর, রোমিও রানা, হাবীব রাজা, সাইফুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, মাসিক ভিন্ন মাত্রার সম্পাদক কবি মাসুম বিল্লাহ, কবি জেসমিন নুর প্রিয়াংকা, আফরোজা পারভীন, নজরুল সংগীত শিল্পী মাহবুবা মীনা, তছিরুল ইসলাম, বাচিক শিল্পী মনজিল নাহার মুক্তা, নারী নেত্রী বিথি মোস্তফা, রুবিনা আখতার, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। আলোচনা, কবিতা, আবৃত্তি ও নজরুল সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে নজরুলীয় আড্ডা প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।