নিজস্ব প্রতিনিধি :স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা ও মানবতাবিরোধী মৌলবাদী চক্র জামাত-শিবির এদেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ১৪ ডিসেম্বর’৭১ বুদ্ধিজীবী হত্যার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আজ থেকে ৫৪ বছর পূর্বে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা নিজেদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে বাঙালি জাতিকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বুদ্ধি ও মেধার দিক দিয়ে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য এদেশের ঘৃণ্যতম রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা স্বাধীনতার পক্ষের সকল বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুরের বধ্যভূমিতে হত্যা করে। তাই ১৪ ডিসেম্বর জাতির ইতিহাসে একটি শোকদিন। এই দিনে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়। জাতি প্রতিবছর এই দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বাঙালির সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অর্জনসমূহ ধ্বংস করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, সমতাভিত্তিক, যুক্তিবাদী চিন্তা-চেতনা সমৃদ্ধ মুক্তচিন্তার নাগরিক হিসেবে তৈরি হতে বাঁধার সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই অপশক্তি প্রতিরোধের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, ’৭২ এর সংবিধানে বিশ্বাসী, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সংস্কৃতি সম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সচেতন দেশবাসীকে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধ করে, নারী নির্যাতন মুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন, দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত, জেন্ডার সংবেদনশীল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, যুক্তিবাদী, সমতাভিত্তিক, জেন্ডার সংবেদনশীল, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের আহ্বান জানাচ্ছে।

