নিজস্ব প্রতনিধিঃ ২৮ মার্চ ২০২৪ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির উদ্যোগে মতিঝিল ওয়াকফ এস্টেট মসজিদ প্রাঙ্গনে বিকাল ৫ টায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, শত ত্যাগের বিনিময়ে যারা এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি স্বাধীনতার এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা আর যোগ্য নেতৃত্বের ফলেই আজ আমরা বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সর্বক্ষেত্রে সততা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ—নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা—বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ৭১’র পেতাত্মরা আবারো জেগে উঠেছে। তাদের সেই বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শেখ বাদশা উদ্দিন মিন্টুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ পার্টি ভাসানী ন্যাপ সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, আওয়ামী লীগ প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধা লীগের সম্পাদক এডভোকেট রোকন উদ্দিন পাঠান, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ হোসেন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সিএম মানিক প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংগঠনের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।