৭০ বছরের বৃদ্ধাকে হত্যার আগে ধর্ষণ জিঘাংসারই পরিচায়ক : রাণা দাশগুপ্ত
রুপসীবাংলা ৭১ঃ পূজারীনী হাসিলতা বিশ্বাসের নির্মম হত্যাকাÐের ঘটনাস্থল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালিবাতা সেবাশ্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত গতকাল (৬ মার্চ, ২০২৪) গভীর রাতে ঢাকায় ফিরেছেন। এ সময়ে তাঁর সাথে ছিলেন প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সরোজ কুমার বিশ্বাস, রবীন মন্ডল, শিপ্রা বিশ্বাস, ডেভিড বৈদ্য, বাদল মল্লিক প্রমুখ সংগঠনের গোপালগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রায় শ’তিনেক গ্রামবাসী ও পূজারীর সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্যে এ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
পরিদর্শনশেষে আজ (০৭ মার্চ, ২০২৪) তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশার্থে এক লিখিত বিবৃতি প্রদান করেন। এতে তিনি বলেন, দুই পুত্র ও তিন সন্তানের জননী হাসিলতা বিশ্বাস ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছিলেন। প্রায় এক দশক যাবৎ মালিবাতা সেবাশ্রমের পূজারী ছিলেন। রাতের বেলা মন্দিরের এক কক্ষে তিনি একাই থাকতেন। দেখা যায়, ঘটনার দিন গত ২ মার্চ দিবাগত রাতে সেবাশ্রমের মূলফটক ভেঙ্গে দুষ্কৃতকারীর দল শুধু এর ভেতরেই প্রবেশ করেনি যে কক্ষে তিনি ছিলেন সে কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে আরেকটি কক্ষে তাকে নিয়ে যায় এবং সেখানে পূজারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এহেন পাশবিকতায় অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে যেসব দুর্বৃত্ত রাতের বেলা মন্দির চত্বরে প্রবেশ করে অপরাপর অজ্ঞাতনামা যুবকদের সাথে নিয়ে তাদের নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণে বারংবার পূজারীনী বাধা দিয়েছেন তারাই এ জঘন্য হত্যাকাÐের জন্য দায়ী। এ ঘটনাকে শুধু মাত্র চুরি করতে এসে হত্যার ঘটনা হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। হত্যার মধ্যে যে পৈশাচিকতা, অমানবিকতা ও অস্বাভাবিকতা রয়েছে তা জিঘাংসারই বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এহেন হত্যাকান্ডের কারণে স্থানীয় পূজার্থী ও গ্রামবাসীরা আজও নিদারুণ শঙ্কায় দিনাতিপাত করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এদের মনে আশা ও আস্থা তৈরীর জন্য এখনও পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি এমনকি কোন রাজনৈতিক দলের নেতারাও ঘটনাস্থল সফর করেন নি।