নিজস্ব প্রতিনিধিঃবাংলাদেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অঙ্গ সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি সংবিধান লঙ্ঘন ও আদালত অবমাননা রোধে চাকুরীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূনঃবহাল এর দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার সকাল ১১.০০ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাব, জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিতি হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা,যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আহসান হাবীব,মোঃ শহীদুল ইসলাম,মোঃ নাসির উদ্দিন,গোলাম রাব্বানী হিরু, কামরুল ইসলাম বিপু, খায়রুল ইসলাম,রোখসানা নাজনীন,সাইফুল ইসলাম পলাশ,হাসান মাহমুদ অপু,কাজী মোশারফ হোসেন, মেহেদী হাসান,হাফিজুর রহমান চাঁদ,মারুফ হোসেন,মিলন শিপন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান।লিখিত বক্তব্যে জানান চাকুরীতে আবেদনের ক্ষেত্রে কোটা লেখা থাকলেও প্রায়োগের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি বিদ্যমান। বর্তমানে কোটা পদ্ধতি রহিতের নামে সরকারী, বে-সরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরি প্রদানে বিশেষ গোষ্ঠি উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবে অনৈতিক বাসনা চরিতার্থে অপকৌশলী তোষণ পদ্ধতি চালু করেছে যার মাধ্যমে তারা আউট সোর্সিং, মাস্টার রোল, চুক্তিভিত্তিক (দৈনিক ও অন্যান্য) নানা শিরোনামে নিয়োগ বানিজ্য চালাচ্ছে যা সংবিধান বিরোধী ও বে-আইনী বলে আমরা মনে করি।২০১৮ সালে কেবিনেট সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি চাকুরীতে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণী পদে ১৬৩ বছরের পরিক্ষীত কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য সরকারের নিকট রিপোর্ট দাখিল করেছিল। সে সময় বিভিন্ন নারী সংগঠন এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের পক্ষ হতে কোটা বাতিলের রিপোর্টের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর অঙ্গ সংগঠন “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড” বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং নাতি নাতনিদের (মুক্তিযোদ্ধা কোটা সুবিধাভোগী) পক্ষ হতে আমরা উক্ত রিপোর্টের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।
বাংলদেশে কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের (সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে) অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য রাষ্ট্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উক্ত সেকশনে অনুন্য ৯৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোন অগ্রাধিকার কোটা রাখা হয়নি। অথচ আমাদের সংবিধানের মূল কাঠামোর লক্ষ্য সাম্যবাদী সমাজ (egalitarian society) গঠন। ১৯৭৬ সালে সংবিধানের মূল কাঠামোর অনুচ্ছেদ ১০ রোহিত করা হয়! যা ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী দিয়ে বাতিল করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ ব্যাচের নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা মান্য না করার উক্ত নিয়েগ দুটি ছাড়াও প্রতিটি নিয়োগ (বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে) সংবিধান বহির্ভূত হয়েছে। কেননা, প্রতিটি ব্যাচে আঞ্চলিক কোটায় স্বীকৃত মতে ডাকাতি হয়েছে! যা সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বিরুদ্ধ। ১৯৮৫ সালে পুনরায় আঞ্চলিক কোটা (৫৫ শতাংশ) কমিয়ে, মেধা কোটা (৪৫ শতাংশ) বাড়ানো হয়। জেলা কোটা হতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ মহিলা ও ৫ শতাংশ উপজাতি কোটা বাদ দিলে জেল কোটার জন্য অবশিষ্ট থাকে ১০ শতাংশ, এটুকুও বাদ দেওয়ার জন্য বেআইনি তোড়জোড় চলছে। গায়েবি সংগঠনের হুমকিতে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে, যার সাথে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জড়িত।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অনতিবিলম্বে কোটা পদ্ধতি পুর্নঃবহাল করতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।