ন্যায্য মজুরির লড়াইয়ে নারী সমাজ” বিষয়ক অবস্থান কর্মসূচি পালন

0
16

নিজস্ব প্রতিনিধি:-আজ ২৮ ভাদ্র ১৪৩০/১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নারীপক্ষ’র আয়োজনে জেলা প্রশাসক, গাজীপুর এর কার্যালয়ের সামনে “ন্যায্য মজুরির লড়াইয়ে নারী সমাজ” বিষয়ক অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন নারীপক্ষ’র সদস্য রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, নারীপক্ষ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মাসুদা আক্তার মাহফুজা, সভানেত্রী, নারী উন্নয়ন সংস্থা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবিতে সমমান নারী সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন এর প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন এবং তারা তাদের বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন যা নি¤েœারুপ-
সভাটি পরিচালনা করেন রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, নারীপক্ষ। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন পারভীন আক্তার, সভানেত্রী, চান্দুরা  মহিলা উন্নয়ন সমিতি। তিনি বলেন অতিরিক্ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্পের শ্রমিকরা খুবই খারাপ অবস্থায় আছে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি এখন সময়ের দাবি।
হাসনা আক্তার, সভানেত্রী, আদর্শ মহিলা সমিতি, তিনি বলেন এই অল্প মজুরি দিয়ে আমাদের কোন কিছু উন্নয়ন সম্ভব হয় না, ২৫ হাজার টাকা সর্বনিম্ন  মজুরির  দাবিতে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি ।
ফারহানা বেগম, সভানেত্রী, অগ্নিবীণা নারী কল্যাণ সংস্থা, বলেন বাড়ি ভাড়া ও দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। ২৫ হাজার টাকায় সর্বনিম্ন মজুরি না করলে শ্রমিকরা জীবন যাপন করতে পারবেন না।
বিমলা রানী, সভানেত্রী, আগমনী মহিলা সমিতি,  জানান আমাদের পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের যে নারীরা কাজ করে তারা সংসার চালাতে পারে না ৪০০০ টাকা বাড়ি  ভাড়া দিয়ে আর টাকা থাকে না।
জিয়াউল কবির খোকন, সভাপতি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন বলেন শ্রমিকরা ৮০০০ টাকার মজুরিতে কাজ করে। এই শিল্পের শ্রমিকরা ভালো নেই, অনেক কষ্ট করে কিন্তু তারা অনেক নিগৃহীত। শ্রমিকরা এখন তাদের সংসার চালাতে পারে না। সঙ্গতিপূর্ণ শ্রমের মজুরি করার দাবি জানায়।
ফেরদৌসী বেগম সভানেত্রী প্রভাতী গৃহায়ন নারী  উন্নয়ন সংস্থা,জানান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে নারী শ্রমিকরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। ২৫ হাজার টাকা সর্বনিম্ন  মজুরি সময়ের দাবি।
আসমা খাতুন সভানেত্রী  জাগরণী নারী উন্নয়ন সংস্থা জানান, নারীরা বাল্যবিবাহ নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে যদি তারা ভালো বেতন পায় চাকরি করে নিজেদের পায়ে দাঁড়াবেন।
আবুল কাশেম সাধারণ সম্পাদক গার্মেন্টস  শ্রমিক ঐক্য লীগ, জানান আমরা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে অনেকজন এর কাজ করছি দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে শ্রমিকরা ভালো নেই ।
পরিশেষে নারীপক্ষ থেকে রওশন আরা, নারী সংগঠন ,শ্রমিক সংগঠন ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করেন।
বাংলাদেশ ম্যধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে সেই সাথে শ্রমিকের বর্তমানে চাহিদারও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে শ্রমিকের বড় খরচ সন্তানের লেথা পড়া, স্বাস্থ্য,  চিকিৎসা এবং পরিবহণ যা মজুরি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত ন্।া তাই মজুরি বৃৃদ্ধির সাথে সাথে মজুরির কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন।

আমাদের দাবি:
১.   অবিলম্বে পোশাক শ্রমিকদের নুন্যতম সঙ্গতিপূর্ণ শ্রমের মজুরি ঘোষণা করতে হবে। ৬৫% বেসিক নিশ্চিত করতে হবে। মজুরি নির্ধারণ না হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ৬০% মহার্ঘভাতা দিতে হবে;
২.   সকল গ্রেডে জীবন যাত্রার ব্যায়ের সাথে সংগতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির সুযোগ থাকতে হবে;
৩.   গ্রেড বৈষম্য দুর করতে মজুুরি কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে, বর্তমানে প্রচলিত ৭টি গ্রেডের বদলে ৫ টি গ্রেড করতে হবে;
৪.   সোয়েটার ও পিস রেটে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দিতে হবে, সোয়েটারে ৩শিফট ও ওভারটাইম নিশ্চিত করতে হবে;
৫.   ইপিজেড-ইপিজেডের বাইরে সব কারখানায় সমান হারে মজুরি বৃদ্ধি ও মূল মজুরির ১০% ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে; বাধ্যতামূলক অংশীদারিত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে;
৬. তৈরি পোশাক শিল্পে যেহেতু বেশীর ভাগ নারী কর্মরত রয়েছে তাই মজুরি বোর্ডে নারীর অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সবশেষে রওশন আরা, সদস্য নারীপক্ষ তিনি নারীপক্ষ’র এই আয়োজনে যারা যুক্ত হয়েছেন, শ্রমিক সংগঠন, নারী সংগঠন, পুলিশ প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি সহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং এই আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জনান।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রওশন আরা, নারী সংগঠন

অনুষ্ঠানের এই সংবাদটি আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বরাবরের মতো এবারও আপনার সহযোগিতা পাবো বলে আশা করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে