বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত

0
20

গতকাল বিকেলে তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু পরিষদ তেজগাঁও থানা শাখার উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাঙালি-বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা সভাপতি হাজী হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ অলিউর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রুবেলসহ তেজগাঁও থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ।আলোচনায় অংশ নিয়ে সুভাষ সিংহ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। যতকাল পৃথিবী থাকবে, ততকাল তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি, অধিকার আদায়ের আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী মহান নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ছিল বিশ্বের ইতিহাসে জঘন্যতম ও নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড। এই সময় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তিনি বলেন, কি কারণে কেন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, বিশ্বের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখেন। ১৯৮০ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বিচারের দাবিতে যে আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিশনকে পুনরায় সক্রিয় করার আহ্বান জানান। এতে দেশী-বিদেশী শক্তি কারা মূল পরিকল্পনার সাথে ছিলেন তা বেড়িয়ে আসবে। তিনি অভিমত ব্যক্তি করেন আইনগত কোন বাধা না থাকলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের রায় জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে হাজী হারুনুর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আর কোনদিন আমরা ফিরে পাবো না। একমাত্র তাঁর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করলে তার প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা হবে। শেষে ১৫ আগস্টের সকল  সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে