জাতীয় জনতার জোট এর নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

0
22

জাতীয় জনতার জোট এর নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৩১ শে আগস্ট রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোট এর চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এই সভাপতিত্বে “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা ও করনীয় শীর্ষক আলোচনা” এবং জাতীয় জনতার জোট এর নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রচিন্তক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জানিপপ এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নৈতিক সমাজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আমসা আমীন। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান জানাব রাসেল কবির, মানবতা পার্টির চেয়াম্যান মাওলানা কারী মোঃ আব্দুল মজিদ পঞ্চগড়ী, বাংলাদেশ জনতা ঐক্য এর চেয়ারম্যা আরিফুর রহমান, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান জনাব শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা বজলুর রহমান আমিনী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের মহাসচিব জনাব সাহেল আহমেদ সোহেল, জনতা ঐক্য এর মহাসচিব জনাব বিল্লাল হোসেন। উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় জনতার জোট এবং বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসাইন বলেন জাতীয় জনতার জোট একটি উন্মুক্ত মঞ্চ । এখানে সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী শ্রমজীবি, সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহন করতে পারবে এবং আমাদের মঞ্চে দেশের জন্য প্রত্যেকের সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারবে।

বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের বিষেদগার নিয়ে ব্যস্থ, তারা কেউ যদি ১ ঘন্টা বক্তব্য দেন, ১০ থেকে ১৫ মিনিট নিজের দলের নেতাদের তোষামদি করেন বাকি সময়টা অন্য দলের বিরোধিতা নিয়ে ব্যস্থ থাকেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে কথা বলার সময় তাদের হাতে থাকে না। জাতীয় জনতার জোট বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলবে জাতীয় জনতার জোট মানুষের সমস্যা এবং এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় এর উপায় নিয়ে কথা বলবে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা এই সংস্কৃতি থেকে জাতীয় জনতার জোট এদেশের মানুষকে বের করে আনতে চায়। আমরা মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন চাই মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত করতে চাই। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সেরে দুর্নীতি অনিয়ম এবং সিস্টেম লস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা চাই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করে কর্মভিি করে, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিক্ষিত ছেলে বাংলাদেশের জন্য বুঝা না হয়ে এদেশের একেশটি মানব সম্পদে রূপান্তরিত হবে। আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় রেফারাল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে চাই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তৃনমূল পর্ব যে প্রত্যেকটা থানা হেলথ কমপ্লেক্সে ( ICU, NICU, Incubator) সহ সকল ইনভেস্টিগেশনের এ যন্ত্রপাতি বিদ্যমান থাকবে। স্বাস্থ্যসেবার তৃণমূল পর্যায়ের অনতা সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা পাবে। আমরা কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৭০% নাগরিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে চাই। বাংলাদেশে এখন প্রায় ছয় কোটির মত বেকার, সরকারি চাকুরিতে যত কোটা আছে, সেখানে এক লক্ষ লোকের ও কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়, ফলে তাই বেসরকারি খাতে কর্মীরা নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্য দিয়ে সমস্য সমাধান করতে চাই। দেশে শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, বেকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। জাতীয় জনতার জোট কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ সহ সকল নাগরিকের জন্য মানবিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। দুর্নীতি চারপাশে আমাদেরকে গ্রাস করেছে, দুর্নীতি মুক্ত একটি সফল রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমরা পড়তে চাইনা, বাংলাদেশের বিকল্প শক্তি হতে চাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে