নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্তব্ধ করে দেয়া। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ১৫ আগস্টের অসমাপ্ত মিশন বাস্তবায়নের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ১৫ আগস্ট ৭৫ এবং ২০০৪ এর ২১ আগস্টের হামলা ছিল সাদৃশ্য। উভয় হামলার লক্ষ্য ছিল এদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গীগোষ্ঠী বর্বরোচিত এই গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রথম সারির সকল নেতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বর্তমানে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দ্রুত কার্যকর করা জরুরী।

গ্রেনেড হামলা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী বেদীতে পুস্পাস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর পূর্বে পুরানা পল্টন মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত এক সন্ত্রাস বিরোধী র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান দীপু মীর, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের নির্বাহী সদস্য মোঃ মাসুদ আলম, আওয়ামী লীগ নেতা আ হ ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।