বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ এর বিবৃতি

0
23

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ এবং বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি দেশের প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও সর্ববৃহত্তম গণকর্মচারীদের প্রাণের সংগঠন। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত ত্যাগের ইতিহাস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়নকালে কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। বঙ্গবন্ধু কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ছাত্রত্ব হরণ করে (যদিও দীর্ঘ প্রায় ৬১ বছর পর ২০১০ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে)। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কারণে কারান্তরীন হলেও তাঁর ঘনিষ্ট সহচর মরহুম আব্দুল আজিজ ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি, যা ১৯৫৪ সালে সরকারী গেজেটভুক্ত হয়ে সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মরহুম আব্দুল আজিজের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ এবং প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব নির্বাচিত হন মরহুম সালেউদ্দিন সেলিম।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ দীর্ঘদিন যাবত সরকারি কর্মচারীদের ন্যয়-সঙ্গত দাবী আদায়ে বলিষ্ঠ ও গঠণমূলক ভুমিকা রেখে আসছে। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি গত ২৭ মে, ২০২৩ ইং তারিখ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন, ২০২৩ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহন করেছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে একজন স্বনামধন্য সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফিতির সাথে সমন্বয় রেখে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস প্রদান করায় পূর্ব নির্ধারিত জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন, ২০২৩ আপাতত: স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছিল।কিন্তু গতকাল ২৫ জুন ২০২৩ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট আয়ের সরকারি কর্মচারীদের সমস্যার বিষয়টি সহানুভুতির সহিত বিবেচনাপূর্বক আপদকালীন সময়ে বিশেষ বেতন হিসেবে মূল বেতনের ৫% প্রণোদনা প্রদানের জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ এবং বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বেতন বৃদ্ধির ঘোষনায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে কর্মচারীদের টাইমস্কেল পুনর্বহাল, আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রথা বাতিল, সচিবালয়ের ন্যায় সমকাজে সমমর্যাদা, বঙ্গবন্ধুর দেয়া বরাদ্দমতে পুনরায় ঢাকায় ১টি স্থায়ী বঙ্গবন্ধু গণকর্মচারী ভবন নির্মান এবং ঞৎধফব টহরড়হ অধিকার প্রদানসহ কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভুত ৫ (পাঁচ) দফা দাবীসমূহ বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে