বাংলাদেশের হিন্দু আইন সংস্কারে আইন কমিশন ও স্বার্থান্বেষী মহলের দাবীর প্রতিবাদে বিশিষ্ট ৫৫ নাগরিক

0
41

হৃদয় বৈরাগীঃ বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কারে আইন কমিশন ও স্বার্থান্বেষী মহলের উত্থাপিত দাবীর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫৫ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এদের মধ্যে বিশিষ্ট সমাজপতি, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, আইনজ্ঞ ও ধর্মজ্ঞ ব্যাক্তি রয়েছে।

বংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা যৌথ বিবৃত্তিতে তারা আইনটি বলবত রাখার পক্ষে। হিন্দু আইন সাধারণত বেদের আইন বলেই জানে ও মানে। আইনটি পরিবর্তনে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের দাবী উত্থাপন করা হলে সকল হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সহ বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করে আসছে। এমনকি যারা এই আইনের পক্ষে তাদের হিন্দু ধর্মীয় সকল কাজে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার ডাক দিয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের বাক-বিতান্ডা ও বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা অনভিপ্রেত। বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন দায়ভাগ আইন নামে প্রসিদ্ধ এবং এটি একটি সুপরিকল্পিত সুচিন্তিত সর্বজন সমাদৃত হিন্দু পারিবারিক উত্তরাধিকার আইন যা ১৯৩৭ সালে সংস্কার ও সংযোজন করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা বিদ্যমান সনাতন শাস্ত্রীয় আইনে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত নন, আইন সংশোধনের পক্ষে আনা যুক্তি ভিত্তিহীন।

প্রচলিত বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নিয়ে এদেশের সাধারণ হিন্দু জনগণের কোন আপত্তি নেই বরং হিন্দুরা সাচ্ছন্দে জীবন কাটাচ্ছে তবে কেনো কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এ আইন পরিবর্তনে আদাপানি খেয়ে লেগেছে? এতে মদদ যোগাচ্ছে কয়েকজন ধর্মান্তরিত নারী। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভিন্ন দেশের উদাহরণ দেখিয়ে আমাদেরকেও তদ্রুপ আইন করতে হবে এটা একটি হাস্যকর দাবী। দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীও বিষয়কে প্রাধন্য দিয়ে আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা অনুযায়ী আইন সৃষ্টি করবো। প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন বাংলাদেশের হিন্দু জনগণের একটি সামাজিক রক্ষাকবচ। এ আইন পরিবর্তন করা হলে তাদের সামাজিক ও ধর্মী ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, সর্বশ্রী মনিন্দ্রনাথ সরকার, দুলাল বিশ্বাস, অধ্যাপক নীরোদ বরন মজুমদার, এডভোকেট কালিপদ মৃধা, এডভোকেট চিত্ত বল, আতোষ মণ্ডল, খগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্যামল বোস, সঞ্জিব বাইন, এডভোকেট মিল্টন বিশ্বাস প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে