নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজস্বখাতে নিয়মিতকৃত প্রায় ২ লাখ কর্মচারিদের পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি থেকে দেশের এজি অফিসগুলো জোরপূর্বক বেআইনীভাবে ৬ হাজার কোটি টাকা কর্তনের অপতৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে গভর্ণমেন্ট এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ।ক্ষোভের সংগে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান যে, বিদ্যমান বিধি-বিধান থাকা সত্ত্বেও অনেক চেষ্টা-প্রচেষ্টা, তদবীর-তাগাদা, অভিযোগ-অনুযোগ ও মামলা-মোকদ্দমার পরও প্রাপ্যতা বহাল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বিধি-বিধান ও আদালতের রায় উপেক্ষা করে কর্তন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ চাকুরি শেষে পেনশন ও গ্র্যাচুইটি উত্তোলনের ক্ষেত্রে চেহারায় বার্ধক্য ও চিন্তার ছাপ পড়া অচল বয়স্ক দেশের নিবেদিত কর্মীদেরকে আর্থিক ও প্রশাসনিক হয়রানী অব্যাহত রেখেছে কতিপয় সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট। বিষয়টি আশু নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংগঠনটির মহাসচিব আরও বলেন যে, সম্প্রতি ঋণগ্রস্ত পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতি এখন আকাশছোঁয়া। বিদেশি রিজার্ভের পরিমাণও প্রায় শূন্য। ঋণে ডুবেছে প্রতিটি সেক্টর। তবুও সরকারি কর্মচারিদের পরিবারের জীবনধারণ ব্যয় মিটাতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে কর্মচারিদের বেতন ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছে। ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে থেকেও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের পেনশন ১৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।এরই ধারাবাহিকতায় দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির কারণে চাল-ডাল, আটা-ময়দা, গম-ডিম, আদা-পেঁয়াজ-রসুন, তরি-তরকারি, শাক-সবজি, ওষুধ, জ্বালানীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বাস্তবতার আলোকে সরকারি কর্মচারিদের বেতন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি, সারাদেশে এক ও অভিন্ন কর্মচারি পুল গঠন, পূর্বের ন্যায় চাকুরি জীবনে ০৩ (তিন) টি উচ্চতর স্কেল পুন:র্বহাল, প্রতিটি দপ্তরে সংস্থায় রেশনিং সেল গঠন, নিয়মিতকৃত কর্মচারিদের পেনশন ভোগান্তি নিরসন ও আর্থিক-প্রশাসনিক হয়রানী অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।