নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখ- ভারতের’ ম্যুরাল স্থাপন স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ। আজ ৬ ই জুন রোজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ২৭/১১ তোপখানা রোড়ে বাংলাদেশ জাতীয় সমন্বয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শাহিন ফাহিম, লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান বক্তা – হানিফ বাংলাদেশী, বাজেটের উপর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান আলোচক- মুজাম্মেল মিয়াজী, বিশেষ আলোচক- শিমুল পারভেজ । আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য নুরুল আজিম, ডাব্লিউপিডিজি শান্ত ।
প্রধান বক্তা -হানিফ বাংলাদেশি বলেন বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মায়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে অঙ্গীভূত করে ভারত সরকারের ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় ভারতের নয়া সংসদ ভবনে চলতি সপ্তাহে তথাকথিত অখ- ভারতের মানচিত্রের ম্যুরাল স্থাপনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। ভারত সরকার কর্তৃক স্থাপিত এই ম্যুরাল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আত্মমর্যাদার প্রতি এক অবমাননাকর দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। ভারতের বর্তমান সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আপত্তিকর এবং বিভ্রান্তিমূলক মানচিত্রের এই ম্যুরাল স্থাপনে বাংলাদেশের সচেতন জনগণ হতবাক হয়েছে। ভারতের সচেতন নাগরিকরাও এই অখ- ভারতের মূরাল স্থাপন করাকে ভালো ভাবে নেয়নি। ভারতের ২০ টি রাজনৈতিক দল এই মূরাল স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
প্রধান আলোচক ফার্মাসিস্ট মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন- এই বারের বাজেটের সব চেয়ে জগণ্যতম কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর জোর করে ২০০০ টাকা আয়কর বসানো । অর্থ্যা মরার উপর খাঁড়ার ঘা। সরকার জোর করে অপ কৌশলে যাদের বিভিন্ন কারনে ঊ- ঞরহ খোলেয়েছি তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ্য । এই ই- টিনের অধিকাংশরাই চাকরি, ব্যবসা সহ বিভিন্ন কারনে ই-টিন খোলেছে। কিন্তু বর্তমান অনেকের চাকরি নেই, নেই ব্যবসা, আয় নেই তেমন আয়। এবং বিশাল এটা অংশ নি¤œ মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ যারা কিনা পরিবার চালাতেই হিমশিম খায়। আর সরকার ঐখানেও জোরপূর্বকভাবে কমপক্ষে ২০০০ টাকা আয়কর নির্ধারণ করেে । যাহা অমানবিক নির্ধারণ ছাড়া আর কিছুই নয় । জাতীয় সমন্বয় কমিটি” পক্ষ হতে এই আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি ।
আলোচনায় সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক, সাংবাদিক সৈয়দ শিমুল পারভেজ বলেন, লুটপাট, পাচার, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে পঙ্গু করার পর সরকার সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করতে অসহায় মানুষের উপর অযৌক্তিক অমানবিক কর চাপিয়ে দিচ্ছে অসহায় মানুষের ঘাড়ে, যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না!অতএব, অনতিবিলম্ব অযৌক্তিক অমানবিক কর পরিহার করে জনগণের স্বার্থে যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেগুলো গৃহীত করার জোর দাবিও জানিয়েছেন সৈয়দ শিমুল পারভেজ ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন- ভারত ১৯৭১সালে স্বাধীন হওয়ার জন্য যে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে, আর এখন সেই স্বাধীন বাংলাদেশকে অখন্ড ভারতের অংশ দেখাচ্ছে এটা ভারতের হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ।
অবিলম্বে এটি অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন উগ্রসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের বিজেপি সরকার তথাকথিত হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে অগ্রসর করার জন্য এই অখ- ভারতের মানচিত্রের ম্যুরাল স্থাপন করেছে। তথাকথিত অখ- ভারতের এই ম্যুরাল প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে, বিভ্রান্তি ছড়াবে এবং এমনকি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দিতে পারে। যা এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য খুবই উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চায়, শত্রুতা নয়। বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের এই হীন মনতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানাচ্ছি